সরকার যতই উদ্যোগ নিচ্ছে ততই দিন দিন কমে যাচ্ছে জনসংখ্যা। জাপানে বর্তমান জন্মহার কমতির দিকে। জাপানিরা বিয়ে করতে এবং সন্তান নিতে আগ্রহী নন। তাই শিক্ষার্থীর অভাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে লাখ লাখ বাড়ি ফাঁকা পড়ে আছে। এভাবে চলতে থাকলে জাপানে ২০/২৫ বছরের মধ্যে বর্তমান যে জনসংখ্যা আছে তার অর্ধেকে নেমে আসবে।
এদিকে জাপানে খালি বাড়ির সংখ্যা বেড়ে ৯০ লাখে উন্নীত হয়েছে, যা দেশটির ইতিহাসে রেকর্ড। দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির নিম্নগামিতা এবং বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সিএনএন জানিয়েছে, পরিত্যক্ত বাড়িগুলো জাপানে ‘আকিয়া’ নামে পরিচিত। এই শব্দটি দিয়ে সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় পরিত্যক্ত আবাসিক বাড়িগুলোকে বোঝায়।
তবে রাজধানী টোকিও এবং কিয়োটোর মতো বড় শহরগুলোতে আকিয়ার সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। চিবাতে কান্দা ইউনিভার্সিটি অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের লেকচারার জেফরি হল বলেন, ‘এটি জাপানের জনসংখ্যা হ্রাসের একটি উপসর্গ। এটি আসলে খুব বেশি বাড়ি তৈরির সমস্যা নয়, তবে পর্যাপ্ত লোক না থাকার সমস্যা।’
স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংকলিত পরিসংখ্যান অনুসারে, জাপানের আবাসিক সম্পত্তির ১৪ শতাংশ খালি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সিএনএনকে বলেছেন, আকিয়া প্রায়ই প্রজন্মের মধ্য দিয়ে চলে যায়। কিন্তু জাপানে জন্মের হার কমে যাওয়ায় অনেক পরিবারে উত্তরাধিকারী নেই বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত তরুণ প্রজন্ম যারা শহরে চলে গেছে এবং গ্রামীণ এলাকায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে সামান্য আগ্রহ দেখেছে। কিছু বাড়িও প্রশাসনিক জটিলতার মধ্যে খালি পড়ে আছে। পুরোনো বা দুর্বল রেকর্ড ব্যবস্থার কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানে না যে, এসব বাড়ির মালিক কারা।
সূত্রঃ সিএনএন
এম.কে
১৪ মে ২০২৪