ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ডেনমার্কে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোপেনহেগেনে তার নিয়োগের অনুমতির জন্য এগ্রিমো পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও কোপেনহেগেনের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষা চলছে, যা ১ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং তার বোন হুসনা সিদ্দিকীকেও রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্তাবিতদের মেধা-যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই; দেশি-বিদেশি উচ্চশিক্ষা, বড় চাকরি, বিশাল মাইনে এবং দীর্ঘ সামাজিক ও ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা আছে তাদের।
পেশাদার কূটনীতিকরা অভিযোগ করেছেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া তাদের জন্য তৈরি অসুবিধা সৃষ্টি করছে। রাষ্ট্রদূত পদে পেশাদারদের বাইরের ৩০ শতাংশ নিয়োগের সুযোগ থাকলেও, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবিত নিয়োগের কারণে এই সুযোগ সীমিত হয়ে যাচ্ছে। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “প্রস্তাবিতরা এতদিন ‘মাখন খেয়েছে’, এখন তলার সুযোগও নিতে চাইছে। এমন পদে ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা রাষ্ট্রদূতদের ন্যায্য সুযোগকে ক্ষুণ্ণ করছে।”
কোপেনহেগেন ছাড়াও বিভিন্ন স্টেশনে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার পদ শূন্য রয়েছে বা শিগগির হবে। তালিকায় রয়েছে সিঙ্গাপুর, দ্য হেগ, থিম্পু, ইয়াঙ্গুন ও তেহরান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব স্টেশনে নিয়োগের বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে মৌখিক আলোচনা চললেও এখনও কোনো ফাইলওয়ার্ক শুরু হয়নি।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ
এম.কে

