পূর্ব লন্ডনের একজন পাচারকারীকে লরি দ্বারা যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের পাচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ইলফোর্ডের ৩৮ বছর বয়সী নাজিব খানকে একটি সংগঠিত অপরাধ গোষ্ঠীর অংশ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। অভিবাসীদের প্রতি জনকে ৭০০০ পাউন্ডের বিনিময়ে যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসা হতো বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়।
ডাগেনহ্যাম হতে নাজিব খানের সহযোগী ওয়াকাস ইকরামকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০২১ সালের মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয়।
যুক্তরাজ্য বর্ডার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা জানায়, ওয়াকাস ইকরামের আইফোনটি জব্দ করা হয়। সেখানে ক্ষুদে বার্তার প্রমাণগুলো ঘেঁটে উভয়কে অবৈধভাবে লরির মাধ্যমে অভিবাসীদের পাচারের ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়।
তথ্যানুসন্ধান প্রমাণ করেছে কীভাবে এই জুটি ২০১৯ সালের মে মাসে পাঁচজন অভিবাসীকে হারউইচ পাচার করতে সক্ষম হয়েছিল।
ইকরাম অবৈধ অভিবাসনের দায়ে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হন। রিডিং ক্রাউন কোর্ট নাজিব খানকে ২৮ জুলাই দোষী সাব্যস্ত করে রায় প্রদান করে।
এনসিএ শাখার কমান্ডার অ্যান্ডি নয়েস বলেন,“ইকরাম এবং খান লরি দিয়ে অভিবাসীদের পরিবহন করেছিল। সেই অভিবাসীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই, তারা কেবল তাদের কাছ থেকে অর্থোপার্জনে আগ্রহী ছিল।”
খবরে জানা যায়, ২০২০ সালে নাজিব খান এবং ওয়াকাস ইকরাম অভিবাসীদের পাচারের জন্য একটি ইনফ্ল্যাটেবল নৌকা কিনেছিলেন। তাছাড়া ইকরাম পাওয়ারবোট চালানোর জন্য একটি কোর্সও সম্পন্ন করেছিলেন। ওয়াকাস ইকরাম ও নাজিব খান দুজনকেই আদালত কর্তৃক ৩০ সেপ্টেম্বর সাজা ঘোষণা দেয়ার কথাও রয়েছে।
এম.কে
০৪ জুলাই ২০২৩