যুক্তরাজ্যের হোম অফিস কৃত্রিম গোয়েন্দা সরঞ্জাম ব্যবহার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। যুক্তরাজ্য হোম অফিস অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যও এ.আই টুলস ব্যবহার করবে। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পূর্বে কর্মকর্তারা কার্যপ্রণালীর মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন বলে জানা যায়। তবে বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সরকার।
এআই-চালিত ইমিগ্রেশন প্রয়োগকারী ব্যবস্থাকে “রোবো-কেস ওয়ার্কার” বলে চিহ্নিত করেছেন সমালোচকেরা। সমালোচকদের মতে এই ব্যবস্থায় অ্যালগরিদমের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকে। যে কারণে অন্যায্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবনতা বাড়তে পারে।
যদিও সরকার জোর দিয়ে বলেছে প্রত্যেকটি কেইসে সিদ্ধান্তের জন্য একজন মানুষ দায়বদ্ধ থাকবে। এটি আশ্রয়প্রার্থীদের ক্রমবর্ধমান কেইস লোড কমানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। বর্তমানে প্রায় ৪১,০০০ লোকের অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণসাপেক্ষে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির শরণাপন্ন হতে যাচ্ছে সরকার।
যদিও অভিবাসী অধিকার প্রচারকারীরা বিভিন্ন দাতব্য সংগঠন হোম অফিসকে এ.আই সিস্টেমটি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের দাবি এই ব্যবস্থায় সিদ্ধান্ত নিলে তা হবে নিষ্ঠুরতা এবং ক্ষতি হবে অনেক ব্যক্তিদের, যাদের জন্য নিরাপদ নয় তাদের নিজেদের দেশ।
এ.আই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে সিস্টেমটি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করবে কিনা তা জানতে চাইলে হোম অফিস এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে।
তবে প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে যে তারা আশঙ্কা করছেন এই এ.আই সিস্টেমটি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছিল যা মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অ্যালগরিদমের সুপারিশগুলিকে প্রাধান্য প্রদান করবে। যার ফলে ভুল সিদ্ধান্ত আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা থেকে যাবে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১১ নভেম্বর ২০২৪