উপাসনালয়গুলোকে টার্গেট করে যাদের ইমিগ্রেশন স্টেটাস ঠিক নেই এমন ব্যক্তিদের মূল দেশে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট কর্মকর্তারা। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের একটি অনুসন্ধানে এই খবর বেরিয়েছে।
গত তিন বছরে মসজিদ, মন্দির, গুরুদ্বার ও গির্জাগুলোকে কেন্দ্র করে ৪০০টিরও বেশি কমিউনিটি কার্যক্রম চালিয়েছে হোম অফিসের বিশেষজ্ঞ দল।
ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্ট রিকোয়েস্টের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বছর অন্তত তিনটি ক্ষেত্রে উপাসনালয়গুলোতে ইমিগ্রেশন এনফর্সমেন্ট হাজির হয় এবং লোকেদের সরাসরি বিমানবন্দরে নিয়ে যায়।
অভিবাসীদের সংগঠন ও দাতব্যসংস্থাগুলো এই কাজের সমালোচনা করেছে। তাদের দাবি, প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টিকারী এই পলিসি বন্ধ করা হোক।
জয়েন্ট কাউন্সিল ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অফ ইমিগ্র্যান্টস (জেসিডব্লিউআই) এর নীতি উপদেষ্টা মেরি অ্যাটকিনসন দ্য ইন্ডিপেনডেন্টকে বলেছেন: “ইমিগ্রেশন এনফর্সমেন্টের উপর কোনো বিশ্বাস নেই। সরকারকে অবিলম্বে এই প্রতিকূল পরিবেশ বাতিল করতে হবে। অপরিহার্য পরিষেবাগুলোতে জনগণের প্রবেশাধিকার দরকার।
এই কথিত ‘প্রতিকূল পরিবেশ’ ২০১২ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব থেরেসা মের প্রবর্তিত নীতিগুলোর একটি। এর উদ্দেশ্য, ‘লিভ টু রিমেইন’ (বসবাসের অধিকার) না থাকা ব্যক্তিদের জন্য যুক্তরাজ্যে বসবাস কঠিন করে তোলা, যেন তারা স্বেচ্ছায় যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেন।
হোম অফিসের ন্যাশনাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট টিম (NCET) বিভাগের কর্মকর্তারা ধর্মীয় প্রাঙ্গনে এই কার্যক্রমগুলো চালাতেন, যারা ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট ফাংশনের একটি শাখার অধীনে।
অনথিভুক্ত অভিবাসী, ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থী এবং অন্যান্য অভিবাসী গোষ্ঠীকে সরকারের স্বেচ্ছায় রিটার্ন স্কিম নিতে পরামর্শ দেয় তারা। ওভারস্টে, স্টুডেন্ট ভিসা, ইইউ সেটেলমেন্ট এবং আবেদনে বিলম্বের বিষয়ে প্রশ্নোত্তর সেশনের আয়োজন করা হয়।
ইংলিশ চ্যানেল জুড়ে ডিঙ্গিতে আসা অভিবাসীদের নিয়ে বিতর্কের কারণে বিষয়টি উন্মোচিত হয়।
এরইমধ্যে ম্যানস্টন এয়ারফিল্ডের অভিবাসী প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের দুর্বস্থার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে পারেন বলে জানা গেছে। ১৬০০ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই কেন্দ্রে ৪০০০ জনকে আটকে রাখা হয়েছিল।
১১ নভেম্বর ২০২২
এনএইচ