7.2 C
London
November 18, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

অভিবাসী স্থানান্তর নিয়ে নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছে লন্ডন ও কিগালি

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠাতে নতুন করে চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার৷ প্রথম চুক্তিটি গত মাসে ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়ে ভেস্তে যায়৷

মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি ও রুয়ান্ডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিনসেন্ট বিরুটা৷

এর মাধ্যমে আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর নীতি বাস্তবায়নে নতুন করে মাঠে নামলো সুনাক সরকার৷ আদালতের রায়ে আগের চুক্তিটি ভেস্তে যাওয়ায় এই উদ্যোগ নিয়েছে তারা৷ নতুন চুক্তিতে রুয়ান্ডা কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, “দুই দেশের অংশীদারিত্বের কাঠামোর মধ্যে স্থানান্তরিত আশ্রয়প্রার্থীদের এমন কোনো দেশে ফেরত পাঠানো হবে না যেখানে তাদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে৷’’

ঋষি সুনাকের রক্ষণশীল সরকার অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে গত বছর থেকে রুয়ান্ডার সাথে চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে৷ ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট আগের চুক্তিটি বেআইনী ঘোষণার তিন সপ্তাহ পর কিগালি সফর করলেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷

ব্রিটিশ আদালত রুয়ান্ডাকে নিরাপদ বিবেচিত না করায় নতুন চুক্তিতে অভিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কিগালিতে দুই দেশের বিচারকদের সাথে একটি যৌথ আদালত প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷

চুক্তি স্বাক্ষরের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুয়ান্ডার সরকারের ডেপুটি মুখপাত্র অ্যালাইন মুকুরালিন্দা বলেন, ‘‘এখানে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের সমস্ত অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে শোনা হবে৷’

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘‘এটা স্পষ্ট যে রুয়ান্ডা একটি নিরাপদ দেশ এবং আমরা এই অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি টেকসই গতিতে কাজ করছি, যাতে ইংলিশ চ্যানেলে ছোট নৌকার যাত্রা থামানো যায় এবং অভিবাসীদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়৷’’

নতুন চুক্তির পাশাপাশি ব্রিটিশ সরকার রুয়ান্ডাকে একটি নিরাপদ দেশ হিসাবে মনোনীত করতে সংসদে ‘জরুরি আইন’ প্রবর্তন করবে বলে সোমবার সন্ধ্যায় এক সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক৷

রুয়ান্ডার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিনসেন্ট বিরুটা বলেন, যুক্তরাজ্যের সাথে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি যে এই অবৈধ অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় আমাদের দায়িত্ব রয়েছে৷’’ এ সময় তিনি রুয়ান্ডা সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷

রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে ১৯৯৪ সাল থেকে দেশটিকে কঠোরভাবে শাসন করছেন৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, “দেশটিতে সংগঠিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু, জোরপূর্বক গুম এবং নির্যাতনের ঘটনার সংখ্যা প্রচুর৷’’

ব্রিটিশ এবং রুয়ান্ডার পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পরই নতুন চুক্তিটি কার্যকর হবে৷ তবে অনেক আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠন মনে করছে, ব্রিটেনের আগামী বছরের নির্বাচনের আগে রুয়ান্ডা অভিমুখে আশ্রয়প্রার্থীদের ফ্লাইট শুরুর সম্ভাবনা কম৷ ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টি আসন্ন নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে৷ তারা ক্ষমতায় আসলে রুয়ান্ডা নীতি বাদ দেয়ার পরিকল্পনা করেছে৷

সূত্রঃ রয়টার্স

এম.কে
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর অভাবে ঝুঁকির মুখে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট আবেদনে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ লাগবে না

বার্মিংহাম পার্কে ঈদ উৎসব বাতিল