সিঙ্গেল পেরেন্টসদের জন্য কঠিন সময় এসেছে বলে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় মতামত জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সন্তানের এক মা। তিনি বলেন আমি নিজে হতাশায় ভুগছি, দুইবেলা সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেওয়া প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে যুক্তরাজ্য সরকার।
চাইল্ড বেনিফিট নিয়ে নিজের উষ্মা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, পাঁচজন সন্তান থাকলে দুইজনের জন্য ভাতা দেয়ার নিয়ম চালু করেছে সরকার ২০১৭ সাল হতে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ২০১৭ সালে জর্জ ওসবার্ন দ্বারা প্রবর্তিত নীতিতে দেখা যায় পিতামাতা এপ্রিল এর পরে জন্মগ্রহণকারী কোনও তৃতীয় বা পরবর্তী সন্তানের জন্য সরকার কাছে ভাতা দাবি করতে পারবেন না। যা অনেক পরিবারকে দারিদ্র্যতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
নাগরিকদের সাথে সাংবাদিকদের কথোপকথন কালে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী একজন নাগরিক জানান, আমি সর্বদা লেবার দলকে ভোট দিয়েছি। কারণ তারা আমাদের কথা ভেবে লড়াই চালিয়ে যায় সেক্ষেত্রে কনজারভেটিভ সরকার ধনীদের আরো ধনী করার পক্ষে সবসময় কাজ করে যায়। এতে আমরা দরিদ্ররা দিনের পর দিন আরো নিষ্পেষিত হচ্ছি আইনের বেড়াজালে।
তিনি জানান, কনজারভেটিভ সরকার বেনিফিট বন্ধ করতে বিভিন্ন পায়তারা করে যাচ্ছে। এই বন্ধ প্রক্রিয়ায় তাদের যে অর্থ খরচ হচ্ছে সেটাকে আমি বিলাসিতা বলব। তিনি বলেন কনজারভেটিভ সরকার দ্বি-শিশু বেনিফিট ক্যাপ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নির্বাচনকে সামনে রেখে। এই প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও আমি আবার লেবার দলকেই ভোট দেব। কনজারভেটিভ সরকার যাওয়ার সময় হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য যে, কনজারভেটিভ সরকার অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলা করতে গত এক দশক হতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিভিন্ন নিয়মনীতি নিয়ে জনগণ বহুদিন হতেই উষ্মা প্রকাশ করে যাচ্ছেন। করোনা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সমালোচনায় সরকার বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে অভিবাসন নীতি, বেতন বৃদ্ধি ও বেনিফিট ক্যাপ আনতে বাজেট কর্তন নিয়ে সবচেয়ে বড় বিপাকে আছে সরকার।
এম.কে
১৮ জুলাই ২০২৩