উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় দেশ অস্ট্রেলিয়া। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ১ লাখ ৭৯ হাজার আবেদনপত্রের মধ্যে ভিসা দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে। করোনা-পরবর্তী দক্ষতা ও আর্থিক ঘাটতি পূরণে শিক্ষার্থী ভিসা মঞ্জুরের হার রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
অষ্ট্রেলিয়ার সরকারের বরাতে জানা যায়, আগামী ১ জুলাই থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশটির সব খাতের পাশাপাশি অভিবাসন খাতেও আসবে পরিবর্তন। নতুন অর্থবছরে পুরো অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বড়সড় রদবদল আসতে চলেছে। প্রায় দুই বছর আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার দরুন সৃষ্ট দেশটির শ্রমবাজারে ঘাটতি কমাতে নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের কর্মঘণ্টা বাড়াবে অষ্ট্রেলিয়ার সরকার। করোনা সংকটের কারণে শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের কর্মঘণ্টার সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়া হয়েছিল। তবে আসন্ন অর্থবছরে এ সুবিধা বন্ধের কথা থাকলেও এর পরিবর্তে গত সপ্তাহে ২০ কর্মঘণ্টাকে বাড়িয়ে ২৪ ঘণ্টা করা হয়েছে, যা বহাল থাকবে এ বছরের শেষ পর্যন্ত।
শিক্ষা সমাপনী–পরবর্তী ভিসা ৪৮৫ টেম্পোরারি গ্র্যাজুয়েট ভিসারও মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে জানান অষ্ট্রেলিয়া সরকারের একজন মুখপাত্র । শিক্ষা সমাপনীর পর স্টুডেন্ট ভিসাধারী প্রার্থীরা স্নাতক পাস হলে দুই বছরের বদলে চার বছর, স্নাতকোত্তর হলে তিন বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর এবং ডক্টরাল হলে ছয় বছর বসবাস করতে পারবে অস্ট্রেলিয়ায়।
এম.কে
০১ জুন ২০২৩