দেশের বিভিন্ন জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৩৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বগুড়ায় ৩, পাবনায় ৩, মুন্সীগঞ্জে ২ জন এবং মাগুরা, রংপুর, কুমিল্লার দেবিদ্বার, সাভার ও রাজধানীর উত্তরায় একজন করে নিহত হয়েছেন।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ মিছিল, সমাবেশ ও জনসভায় অংশগ্রহণের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আন্দোলনে গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে আজ এই পর্যবেক্ষণ দেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চ।
পেশাজীবীদের সমাবেশ পণ্ড করার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। এর পরই জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর এখন প্রেসক্লাবের সামনে অর্ধশতাধিক পুলিশ অবস্থান করছে।
মিরপুর–১০ নম্বর গোল চত্বর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও পুলিশের দখলে। আর মিরপুর–১১, পল্লবী, বিআরটিএ, গার্লস আইডিয়ালের সড়ক আন্দোলনকারীদের দখলে। মিরপুর–১০ নম্বর গোল চত্বরের দিকে এগোচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও গুলি বর্ষণ করছে পুলিশ। আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের মাঝখানে রয়েছে সেনাবাহিনী। অবস্থা ভয়াবহতার দিকে রুপ নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এম.কে
০৪ আগস্ট ২০২৪