অস্ট্রিয়ায় একজন সিরিয়ান আশ্রয়প্রার্থী ছুরি হামলায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে হত্যা করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
কর্তৃপক্ষের মতে, ২৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি “ইসলামিক সন্ত্রাসবাদে” অনুপ্রাণিত হয়ে এই রক্তক্ষয়ী হামলায় জড়িয়ে পড়েন, যেখানে পাঁচজন আহত হন। শনিবার ভিলাখ শহরে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস হামলায় জড়িত তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এখনো পর্যন্ত তারা সবাই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। আহত পাঁচজনের বয়স ১৫ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে, যাদের মধ্যে একজন তুর্কি এবং বাকিরা অস্ট্রিয়ান নাগরিক বলে পুলিশ মুখপাত্র রেইনার ডিওনিসিও জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারের সময়ের ছবিতে দেখায যায় আক্রমণ চালানোর পর সন্দেহভাজন ব্যক্তি হাসছিলেন এবং একটি আঙুল উঁচু করে রেখেছিলেন। পরবর্তীতে সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে রাখে এবং গ্রেফতার করে।
পুলিশ পরে নিশ্চিত করেছে যে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একজনকে হত্যার অভিযোগ এবং পাঁচজনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরহার্ড কার্নার রবিবার ভিলাখে এসে স্থানীয়দের জানান, কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন আক্রমণকারী একজন ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী।
তিনি আরও বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি উগ্রবাদ ও ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সাথে যুক্ত ছিল।
এদিকে, ভীতসন্ত্রস্ত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্দেহভাজন হামলাকারী ছুরি নিয়ে হামলার আগে “আল্লাহু আকবার” বলে চিৎকার করেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তকারীরা সন্দেহভাজনের অ্যাপার্টমেন্টে আইএসের একটি পতাকা খুঁজে পেয়েছেন।
অস্ট্রিয়ার রাজ্য পুলিশের প্রধান মিশায়েলা কোলওয়েইস নিশ্চিত করেছেন, অষ্ট্রিয়ার পুলিশ বিশ্বাস করে আক্রমণকারী ব্যক্তি সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিয়েছিল।
সূত্রঃ দ্য সান
এম.কে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫