রোমানিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপের মুক্ত চলাচলের অঞ্চল সেনজেন জোনে প্রবেশের জন্য চেষ্টা করে আসছে।বিশ্ব সংবাদপত্রের শিরোনামে জানা যায়, সম্প্রতি ক্রোয়েশিয়ার আবেদন গ্রহণ হলেও বাতিল হয়েছে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার আবেদন।
ইইউর শর্তপূরণে স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন ভিসা নিয়ে আসা অভিবাসীদের নিয়ে রোমানিয়ার বেশ কড়া নজরদারি রয়েছে। বিভিন্ন কারণে কাজের ভিসা ও অন্য যেকোনো স্বল্পমেয়াদি ভিসায় আসা ব্যক্তিদের বসবাসের অধিকার তুলে নেয়া হয় রোমানিয়ায়;
রোমানিয়ায় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, রোমানিয়া থেকে অবৈধভাবে দেশটির রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অতিক্রম করে সেনজেন বা কোনো দেশের প্রবেশের চেষ্টা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ জাতীয় কাজে জড়িত ব্যক্তির সকল প্রকার রেসিডেন্স পারমিট ও ভিসা বাতিল করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিধান রয়েছে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আসা অভিবাসীরা রোমানিয়ায় বিদেশিদের কর্মসংস্থানের প্রবিধান লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাজের ভিসা প্রত্যাখান করা হয়।
প্রথম কোম্পানির এনওসি ছাড়া আবার নতুন করে অন্য কোম্পানিতে কাজে যোগ দিলে একজন ব্যক্তি ভিসা প্রত্যাহার ও নিজ দেশে ডিপোর্টের মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
রোমানিয়ার জনস্বাস্থ্যকে বিপন্ন করে এমন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা গ্রহণ না করেন সেক্ষেত্রে তার অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি বাতিল করা হয়।
তাছাড়া কোনো অভিবাসী রোমানিয়ার নাগরিকত্বের আবেদন করলে এবং নাগরিকত্ব গ্রহণের পরে আগের সব রেসিডেন্স পারমিট বাতিল বলে গণ্য করা হয়।
উচ্চশিক্ষার জন্য রোমানিয়ায় আসা ছাত্রছাত্রীরা প্রথম দিকে একটি এক বছর মেয়াদি অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট বা টিআরসি কার্ড পেয়ে থাকেন।
এসব ছাত্রছাত্রীরা শুধুমাত্র অসুস্থতাজনিত যৌক্তিক কারণে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তাদের পড়াশোনা সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারবেন। এটির ব্যাঘাত হলে পড়াশোনার শর্তে প্রাপ্ত টিআরসি কার্ড বাতিল করে নেয়া হয়।
তাছাড়া ডিগ্রি শেষে প্রাপ্ত রেসিডেন্স পারমিটের জন্য চাকরিসহ যেসব শর্ত দেয়া হয় সেগুলো পূরণ করতে না পারলে রোমানিয়ায় স্থায়ী হওয়ার সুবিধা দেয়া হয় না।
অপরদিকে, রোমানিয়ার নাগরিককে বিয়ের মাধ্যমে রেসিডেন্স পারমিট প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি যদি আইনি শর্ত ছাড়া এক বছরের মধ্যে ছয় মাসের বেশি রোমানিয়ায় অনুপস্থিত থাকেন তাহলে তার টিআরসি কার্ড বা স্বল্পমেয়াদি পারমিট বাতিল করা হয়।
২০২২ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত অনিয়মিত অভিবাসন ও মানবপাচারের বিরুদ্ধে দফায় দফায় অভিযান চালিয়েছে বুখারেস্ট কর্তৃপক্ষ। সেনজেন সীমান্ত থেকে এবং ওয়ার্ক পারমিটের নিয়ম না মানায় আটক করা হয়েছে একাধিক বাংলাদেশিকে।
ঢাকায় ডিপোর্ট হয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। ইইউ বহিঃসীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের সহায়তায় এসব ডিপোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বলে জানা যায়।