TV3 BANGLA
বাংলাদেশযুক্তরাজ্য (UK)

আইফোন ইতিহাসের সবচেয়ে পাতলা মডেল উন্মোচন, নকশায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশি আবিদুর

অ্যাপলের বহুল প্রতীক্ষিত অনুষ্ঠান এবার আলাদা মাত্রা পেলো এক নতুন মুখের কারণে। বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন আইফোন এয়ার উন্মোচন করেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি নকশাবিদ আবিদুর চৌধুরী। এতদিন অ্যাপলের মঞ্চে মূলত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাই পণ্য উন্মোচন করতেন, কিন্তু এবার একজন নকশাবিদকে সামনে আনা প্রতিষ্ঠানটির সৃজনশীলতার প্রতি গুরুত্বকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে।

আবিদুর চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা লন্ডনে। অল্প বয়স থেকেই তিনি সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী চিন্তায় মনোনিবেশ করেন। লাফবারো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোডাক্ট ডিজাইনে স্নাতক শেষ করার সময়েই তিনি অর্জন করেন একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রেড ডট ডিজাইন পুরস্কার (২০১৬) এবং জেমস ডাইসন ফাউন্ডেশনের বৃত্তি। এছাড়া তিনি পান কেনউড যন্ত্রপাতি পুরস্কারসহ আরও অনেক সম্মাননা। শিক্ষাজীবনেই এতগুলো অর্জন তাকে প্রতিভাবান নকশাবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

পেশাগত জীবনের শুরুতে তিনি কাজ করেন ক্যামব্রিজ কনসালট্যান্টস, কারভেন্টা এবং পরবর্তীতে লন্ডনের নামকরা নকশা প্রতিষ্ঠান লেয়ার-এ। সেখানে আন্তর্জাতিক প্রকল্পে অংশ নিয়ে নিজেকে আরও দক্ষ করে তোলেন। ২০১৮-১৯ সালে তিনি গড়ে তোলেন নিজের প্রতিষ্ঠান আবিদুর চৌধুরী ডিজাইন, যার মাধ্যমে তিনি স্টার্টআপ ও উদ্ভাবনী সংস্থার সঙ্গে কাজ করেন। ২০১৯ সালে যোগ দেন অ্যাপলে এবং জড়িয়ে পড়েন বিশ্বমানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে।

অ্যাপলের ইতিহাসে এবারই প্রথম এতটা পাতলা স্মার্টফোন বাজারে এলো। আইফোন এয়ার মাত্র ৫.৬ মিলিমিটার পাতলা এবং ওজন ১৬৫ গ্রাম। ফোনটি তৈরি হয়েছে ৮০ শতাংশ পুনর্ব্যবহৃত টাইটেনিয়াম দিয়ে। রয়েছে ৬.৫ ইঞ্চির সুপার রেটিনা এক্সডিআর ডিসপ্লে, যা ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট সমর্থন করে। উভয় পাশে প্রো-সেরামিক শিল্ড থাকায় এটি ভাঙার ঝুঁকি আগের চেয়ে চারগুণ কম।

নতুন মডেলে রয়েছে ৩১৪৯ এমএএইচ ব্যাটারি, এআই সমর্থিত শক্তিশালী প্রসেসর এবং এন১ ওয়ারলেস চিপ, যা ব্যাটারি খরচ কমিয়ে আনার পাশাপাশি ম্যাকবুক প্রো স্তরের পারফরম্যান্স দেওয়ার দাবি করছে অ্যাপল। ক্যামেরা ব্যবস্থাতেও এসেছে বড় পরিবর্তন—পেছনে ৪৮ মেগাপিক্সেল ফিউশন সিস্টেম এবং সামনে ১৮ মেগাপিক্সেল সেন্টার স্টেজ ক্যামেরা। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো, ফোনটিতে আর কোনো সিম স্লট রাখা হয়নি, কেবল ই-সিম ব্যবহার করা যাবে।

এই নকশার পেছনে আবিদুর চৌধুরীর অবদান নিয়ে প্রযুক্তি মহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা। ভবিষ্যতমুখী গঠনশৈলী ও ব্যবহারবান্ধব নকশার সমন্বয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, তরুণ প্রতিভা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে বিশ্ব প্রযুক্তি অঙ্গনে নতুন অধ্যায় রচনা করা সম্ভব।

সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া

এম.কে
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরো পড়ুন

মুদ্রাস্ফীতির সময়ে অর্থনৈতিক দৈন্যতায় ভোগা পরিবার পাচ্ছেন বিশেষ সাহায্য

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

বারবার ফ্যাসিস্ট বলা পছন্দ করি না, আমি কোনো মৌলবাদী মুসলমান নইঃ জামায়াতের আমির