বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের একনায়কতান্ত্রিক শাসন এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দলটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য রাজনৈতিক দলসমূহ, বিভিন্ন সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে আসা সাম্প্রতিক দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। চলমান তদন্তে সহযোগিতা করার পরিবর্তে দলটি প্রকাশ্যে দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই দাবির বিষয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শক্রমে শিগগিরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের রিপোর্ট, যেখানে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে, সেটিকে সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সংগঠনটি সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে ব্যাপকভাবে অভিযুক্ত।
এছাড়াও, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠন ও রাজনৈতিক দলসমূহকে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে জনমনে যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে সরকার অবগত। উল্লেখ্য, তিনি আগের সরকারের আমলে দায়িত্ব পালন করেন এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলার আসামি। সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করছে যে, এই ঘটনায় জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে—এতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
সূত্রঃ চিফ এডভাইজার জিওবি
এম.কে
০৯ মে ২০২৫