6.4 C
London
December 23, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

আকাশে উড়তে যাচ্ছে শতভাগ সবুজ জ্বালানির প্রথম ফ্লাইট

আকাশে উড়তে যাচ্ছে শতভাগ সবুজ বা টেকসই জ্বালানি চালিত ট্রান্সআটলান্টিক ফ্লাইট।প্রথমবারের মতো এ ধরনের জ্বালানিতে চলবে কোনও উড়োজাহাজ।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভার্জিন আটলান্টিক পরিচালিত এ ফ্লাইট লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে যাবে।

পুরো প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর লক্ষ্য হল সবুজ প্রযুক্তিতে উড়োজাহাজ চালানো যায় তা প্রমাণ করা। তবে সবুজ জ্বালানির পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় কিছু প্রতিবন্ধকতা এখনও রয়ে গেছে। লক্ষ্যমাত্রাতে পৌঁছানোর জন্য আরও কিছু প্রযুক্তির প্রয়োজন।

সংক্ষেপে এসএএফ নামে পরিচিতি উড়োজাহাজের টেকসই জ্বালানি বিভিন্ন উৎস থেকে তৈরি করা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে শস্য দানা, গৃহস্থালির বর্জ্য ও রান্নার তেল।

প্রথম ফ্লাইটে উড়বে বোয়িং ৭৮৭ এর একটি ফ্লাইট। এতে জ্বালানি হিসেবে নেওয়া হচ্ছে ৫০ টন এসএএফ। ৮৮ শতাংশ বর্জ্য চর্বি ও যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত ভুট্টা বর্জ্য থেকে এ জ্বালানি তৈরি হয়েছে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চলতি নভেম্বরের শুরুতে ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পায়। এ প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক রোলস-রয়েস ও এনার্জি জায়ান্ট বিপিসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা।

ধারণা করা হয় যে, এভিয়েশন শিল্পকে ডিকার্বনাইজ করা কঠিন। তবে এয়ারলাইন কর্মকর্তারা এসএএফ জ্বালানিকে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য কার্যকর উপায় হিসেবে দেখছেন। অবশ্য এমন নয় যে এসএএফ উড়োজাহাজের থেকে কার্বন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনবে। এ ধরনের জ্বালানি কার্বন নির্গমন ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে।

যুক্তরাজ্যে কোনও বিশেষায়িত বাণিজ্যিক এসএএফ উৎপাদক নেই। তবে সরকারের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি এসএএফ প্ল্যান্টের কাজ শুরু করা। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ ফ্লাইটে এ জ্বালানির ব্যবহার করা।

এম.কে
২৯ নভেম্বর ২০২৩

 

আরো পড়ুন

ব্রিটেনে আঘাত হানতে শুরু করেছে কয়েক দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় ইউনিস

যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট

মেটপুলিশে বর্ণবাদ, বিবিসিতে প্রচারের পর বিরূপ পরিস্থিতি