নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. আল আমীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন, আগরতলার সব প্রকার ভিসা ও কনস্যুলার সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এর আগে, সোমবার (২ নভেম্বর) একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সমর্থকরা হাইকমিশনে হামলা করে ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। দুপুরে আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে এ হামলা চালানো হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কথিত নির্যাতন ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরেই ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’র ব্যানারে আগরতলা ও এর আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ-মিছিল হচ্ছিল। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকা হয়। আগরতলার সার্কিট হাউসে অবস্থিত গান্ধী মূর্তির সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। দুপুরে বিক্ষোভকারীরা হঠাৎ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে।
সেখানে গিয়ে তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ভবনের সামনে থাকা সাইনবোর্ড ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তিকে কোনো অবস্থাতেই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি ও সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
সূত্রঃ কলকাতা-২৪
এম.কে
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪