17.6 C
London
September 8, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

আজিজ-বেনজীর ইস্যুতে আমলাদের কানাঘুঁষা

এখন আলোচনা হট ইস্যু সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক  বেনজীর আহমেদ। এই নিয়ে সরকারের মন্ত্রী বা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিভিন্ন মন্তব্য করলেও আমলারা নিশ্চুপ। তবে প্রকাশ্যে তারা কোন কথা না বললেও ভিতরে ভিতরে চলছে নানা কানাঘুঁষা।

সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশ প্রধানের নানা দুর্নীতির বিষয় সামনে আসার পর সরকার বিব্রত নয় বলে ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, তাদের দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে,সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির অভিযোগ শিডিউলভুক্ত হলে অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান।

অন্যদিকে, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্প্রতি ক্রোক ও ফ্রিজ করার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা লাপাত্তা। গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে বেনজীর ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা উঠিয়ে আগেই সিঙ্গাপুর পাড়ি জমিয়েছেন। এখন বিদেশে তার বিনিয়োগ নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।

এমন পরিস্থিতিতে আমলারা কেউ কোন কথা বলছেন না। সবাই সাবধানি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। জেনারেল আজিজ ও বেনজীর আহমেদের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে কেউ কোন কথা বলতে নারাজ। তবে সাবেক দুর্দন্ড প্রতাপের সরকারি এই দুই কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অনিয়মের আমলনামায় কম-বেশি সবাই স্তম্ভিত।

এই বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, তারা সাবেক হয়ে গেছেন। তাদের কী হবে তা সরকার দেখবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, একটা লোকের চাকরির সারা জীবনের অর্জন শেষ। এত সম্পদ মানুষ কেমনে করে। মরতে হবে সে চিন্তাও নেই। আদালত এখন ব্যাংক হিসাব, সম্পদ জব্দ করেছে।

সচিবালয় ঘুরে জানা গেছে, আজিজ-বেনজীর ইস্যুতে খুব ঘনিষ্ঠ হলে দুই বা তিনজন মিলে ফিসফাস আলোচনা চলে রুমে রুমে। তবে বেশিরভাগই এসব আলোচনা থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। আর সিনিয়র বিশেষ করে সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা গভীর পর্যবেক্ষণ করে দেখছেন আসলে মোড় কোনদিকে যায়।

পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বেনজীরের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির চিত্র সামনে আসায় পুলিশের একটা বড় অংশ ভিতরে ভিতরে বেশ খুশি। তবে কিছু কর্মকর্তা সাবধানি ভুমিকায় রয়েছেন। তারাও ভয়ের মধ্যে রয়েছেন। কখন আবার কি ফাঁস হয়ে যায়।

সেনা ও পুলিশের সাবেক দুই কর্মকর্তার বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দুর্নীতি নিয়ে নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দিকেও এখন থেকে নজর দেওয়া দরকার। পুরো ব্যবস্থাই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। সেনাপ্রধানের বিষয়ে আগেই আলোচনা এলেও সরকার সেসময় সাফাই গেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান-ব্যক্তি যারা এসব কাজে জড়িত চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এগুলো মূলত হয়েছে দলীয়করণের কারণে। নিজেদের লোক বসানোর কারণে।

এম.কে
০৩ জুন ২০২৪

আরো পড়ুন

শেখ হাসিনার পরবর্তী গন্তব্য কি তুরষ্ক হয়ে বেলারুশ

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে যা বলল জাতিসংঘ

ভারতে প্রায় ৪ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার