আপন চাচা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করলেন ভাতিজি মেরি ট্রাম্প (৬০)। ‘দ্য ডেইলি টি’ নামের এক পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন মেরি।
এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর তথ্যটি হলো-‘আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকতে চান ট্রাম্প।’ চাচা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘জন্মগত স্বৈরাচারী’ এবং ‘নিজেকে সকল ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে করেন’ বলেও অভিহিত করেছেন।
শুক্রবার দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে চাচা ট্রাম্পকে নিয়ে মেরি ট্রাম্পের এ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে।
মেরি ট্রাম্প পেশায় একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট। সাক্ষাৎকারে তিনি ট্রাম্পের মানসিক স্বাস্থ্য ও শৈশবের আচরণবিধি নিয়েও একাধিক মন্তব্য করেন।
তার মতে, ট্রাম্প একজন ফ্যাসিস্ট এবং তিনি সবসময় নিজেকে বিশ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে ভাবেন। এছাড়াও ট্রাম্পের আচরণ নিয়ে মেরি বলেন-ট্রাম্প জ্ঞানে দুর্বল এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কৌতূহলহীন।
এ বিষয়ে মেরি চাচা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে একটি বই লিখেন-যার নাম ‘টু মাচ অ্যান্ড নেভার এনাফ : হাও মাই ফ্যামিলি ক্রিয়েটেড দ্য ওয়াল্ডর্স মোস্ট ডেনজারাস ম্যান।
এ বইয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শৈশব, পারিবারিক পরিবেশ এবং তার নেতৃত্বের ধরন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
সাক্ষাৎকারে শৈশবের একটি স্মৃতি মনে করে মেরি বলেন- নিউ ইয়র্কের বাড়ির পিছনের উঠোনে বেসবল খেলতেন চাচার সঙ্গে।
সেসময় ট্রাম্পের কিছু ‘একনায়ক’ আচরণ তুলে ধরে বলেন, ‘আমি ছয় বছর ছিলাম আর তার বয়স ছিল ২৮, অথবা যাই হোক, আমার মনে নেই সে আমার চেয়ে কত বড়। কিন্তু সে যত জোরে সম্ভব বলটা আমার দিকে ছুড়ে মারত। আমার মনে হয়েছিল হাতের প্রতিটি হাড় ভেঙে ফেলেছি। কিন্তু তার (ট্রাম্পের) মধ্যে এই বিষয়টা সবসময় ছিল তাকে জিততে হবে, তাকে সবার চেয়ে ভালো হতে হবে। সে শুরু থেকেই এমন ধরনের লোক।’
এরপর মেরি দাবি করেন, ট্রাম্পের বাবা ফ্রেড ট্রাম্প একজন ‘সমাজবিরোধী’ ছিলেন, যার প্রভাব ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিত্ব গঠনে নেতিবাচক ভুমিকা রেখেছে। এসময় তিনি ট্রাম্পকে আত্মকেন্দ্রিক বলেও অভিহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র একটি বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছেছে। তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। তার মতে, ট্রাম্প ‘অপরাধী, নিষ্ঠুর ও বিশ্বাসঘাতক। তাকে কারাগারে পাঠানো উচিত।’
সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ
এম.কে
২৫ মে ২০২৫