আফগান এক মহিলা তার নতুন ভিসা হোম অফিস কর্তৃক প্রত্যাখ্যান হবার পরে তাকে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন।
গ্লাসগোতে বসবাসকারী মেরিয়ম আমিরি সরকারকে তার সিদ্ধান্তের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন তার স্বামী, যিনি আফগানিস্তানে বৃটিশ বাহিনীর পক্ষে কাজ করেছিলেন। তাদের উভয়কেই আফগানিস্তানে ফিরিয়ে দেওয়া তাদের জীবনের জন্য নিরাপদ হবে না।
গ্লাসগো সেন্ট্রালের সাংসদ অ্যালিসন থিউলিস হোম অফিসের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, আফগানিস্তান মিস আমিরির জন্য নিরাপদ স্থান নয় বিধায় ২০১৬ সালে তাকে প্রথম ভিসা দেওয়া হয়। আফগানিস্তানে এমন কিছু ঘটে নাই যে সে দেশ নিরাপদ হয়ে গিয়েছে মহিলাদের জন্য।
হোম অফিসের সিদ্ধান্তে বলা হয় এমএস আমিরি ২০১৬ সালের পর থেকে দুটি সংক্ষিপ্ত ভিসা পিরিয়ডের জন্য যোগ্যতা অর্জন করলেও পাঁচ বছরের বা দশ বছরের অধীনে ভিসা পেয়ে বৃটেনে স্থায়ী হওয়ার জন্য যোগ্য নন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এমএস আমিরি ন্যূনতম আয়ের নিয়ম পূরণ করতে পারেন নাই। তাছাড়া আমিরি ও তার স্বামীর আফগানিস্তানে বাস করায় বড় কোন বাঁধা আছে বলে হোম অফিস মনে করে না।
তালেবানরা মার্কিন বাহিনী দ্বারা অপসারণের দুই দশক পরে ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আবারও ফিরে আসে।
তবে এমএস আমিরি বৃটিশ সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “আমি সবসময় তালেবান এবং তাদের নৃশংস শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। এটাই আমার জন্য বড় বিপদ হয়ে দেখা দিবে। আফগানিস্তান মহিলাদের জন্য নিরাপদ স্থান নয়। আমি হুমকি বোধ করি এবং আমি যদি ফিরে যাই তবে আমার জীবন হারাতে হবে।”
মিসেস আমিরি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, গ্লাসগোতে মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে চান। তিনি স্কটিশ সংসদের সদস্য হওয়ার আকাঙ্ক্ষাও রাখেন।
মিসেস আমিরি বলেন, তালেবানদের সম্পর্কে তার মতামত এবং নারীর অধিকারের বিষয়ে তার সিদ্ধান্তের কারণে তার পরিবারকে ইতিমধ্যে অত্যাচারের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এমএস আমিরির মামলা প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কাছে হাউস অফ কমন্সে উত্থাপিত করা হয়েছে, তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোনও একটি পৃথক মামলা নিয়ে মন্তব্য করতে তিনি অপারগ।
বৃটিশ গণমাধ্যম এই মামলার ইস্যুতে কথা বলতে গেলে হোম অফিসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ” সমস্ত ভিসা অ্যাপ্লিকেশন পৃথক যোগ্যতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমরা পৃথক মামলা নিয়ে মন্তব্য করি না।”