সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিদেশ গমন ঘিরে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা। কিশোরগঞ্জ সদর থানার একটি হত্যা মামলার আসামি হয়েও দেশত্যাগ করায় প্রত্যাহার করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. হাছান চৌধুরীকে। পাশাপাশি তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজহারুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে আবদুল হামিদ দেশ ছাড়েন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বে থাকা ইমিগ্রেশন ও বিশেষ শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওসি ইমিগ্রেশন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিনা আরিফকে প্রত্যাহার এবং এটিএসআই মো. সোলায়মানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা দেশত্যাগে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় না আনতে পারলে তিনি নিজেই দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে ‘চিকিৎসার জন্য’ যেতে দেওয়া হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে থাকা মামলা এবং তাকে দেশত্যাগে বাধা না দেওয়াকে ঘিরে এখনো চলেছে ব্যাপক আলোচনা।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন আবদুল হামিদ। দায়িত্ব শেষে তিনি রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় বসবাস করছিলেন।
এম.কে
০৮ মে ২০২৫