বাংলাদেশের বাজারে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগীর দাম নিয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কেন বাজারের দাম বেশি তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা জল্পনাকল্পনা।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দুবাইয়ে কোনো গরুর খামার নেই। সেখানে আমদানি করে মাংস বিক্রি করা হয়। তারপরে দুবাইয়ে গরুর মাংসের কেজি ৫০০ টাকা। ব্রাজিল থেকে যদি আমরা গরুর মাংস আমদানি করি তাহলে প্রতি কেজি মাংসের দাম পড়বে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা। তাহলে আমাদের বাংলাদেশে গরুর মাংস কেজি প্রতি কেন ৭৫০ টাকায় কিনতে হবে?’
তিনি বলেন, ‘এ অবস্থা চলতে থাকলে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসের দাম কমাতে সরকার প্রয়োজনে মাংস আমদানির উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিবো।’
সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী বিভিন্ন বাজারে বর্তমানে ‘ব্রয়লার মুরগির দাম ২৮০ টাকা। গত বছরের এই সময়ে বয়লার মুরগির দাম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ছিল। একজন ক্রেতা মতামত জানাতে গিয়ে বলেন, দাম কমেছে বলে যে তথ্য বাজারে শোনা যায় কিন্তু কিনতে গেলে এর কোনো ফল পাওয়া যায় না। বাজারে সবকিছুর দামেই আগুন।
মো. জসিম উদ্দিন জানান, এবার চাহিদার তুলনায় বেশি খেজুর আমদানি করা হয়েছে। শুধু খেজুর নয়, চিনি ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাও বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে দ্রব্যমূল্যের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এই অবস্থা চলতে থাকলে জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করবে।