মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতজুড়ে মসজিদ ও ট্র্যাফিক জংশনে প্রতিদিন চলছে ইফতার আয়োজন। এই ইফতার আয়োজন রমজানের শুরুর দিন থেকে চলছে দেশটির প্রতিটি শহরের প্রত্যেক ট্র্যাফিক জংশন ও মসজিদে।
দুবাই, আবুধাবি, শারজাহ, রাস আল খাইমাহ ও আজমানের ১৩টি স্থানে ইফতার কিট বিতরণ করা হচ্ছে। আর এ ইফতার আয়োজনে অংশ নিচ্ছে আমিরাতে বসবাসরত লাখ লাখ রোজাদার। মসজিদে বা রাস্তায় ইফতার পরিবেশনে ব্যস্ত দুবাই পুলিশ, ছোট্ট শিশুসহ স্বেচ্ছাসেবকরা। এর মধ্য দিয়ে আমিরাতজুড়ে হৃদয়গ্রাহী দৃশ্য উন্মোচিত হয়েছে।
গতকাল খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুবাই, আবুধাবি, রাস আল খাইমাহ ও আজমানজুড়ে জংশনগুলোয় এক হৃদয়গ্রাহী দৃশ্য উন্মোচিত হয়েছে। ট্র্যাফিক লাইট লাল হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল কাজ করে। তারা যাতায়াতের সময় যাত্রীদের কাছে ইফতারের খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করে রমজানের চেতনা ছড়িয়ে দেয়।
অ্যাস্টার ডিএম হেলথকেয়ার, দুবাই পুলিশ ও কমিউনিটির সদস্যদের প্রায় ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবক জংশনগুলোর চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। তারা যাতায়াতকারীদের কাছে ইফতারের কিট হস্তান্তর করে, নির্ধারিত সময়ে তাদের রোজা ভাঙতে সহায়তা করে।
দুবাই পুলিশের সহযোগিতায় অ্যাস্টার ডিএম হেলথকেয়ারের নেতৃত্বে পরিচালিত এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো ইফতারের জন্য বাড়িতে পৌঁছানো পথে সন্ধ্যার ভিড়ে আটকে পড়া ব্যক্তিদের সহায়তা করা।
আরব আমিরাতের প্রত্যেক ট্র্যাফিক জংশন এবং মসজিদে ১০০ থেকে ২০০ ও বড় বড় মসজিদগুলোয় প্রায় ২৫০ থেকে ৪০০ লোকের ইফতারির আয়োজন করা হচ্ছে রমজানের প্রতিদিনই। আর এ ইফতার আয়োজনে অংশ নিচ্ছে আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, মিশর, ফিলিপিনসহ আফ্রিকার প্রবাসীরা।
আমিরাতে রোজার সময় এবার প্রায় ১৪ ঘণ্টা।
সরেজমিনে শারজাহ নুর মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, ইফতারির প্যাকেট নিতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে শত শত মানুষ। আর তাদের ইফতার পরিবেশনে ব্যস্ত স্বেচ্ছাসেবকরা।
সূত্রঃ খালিজ টাইমস
এম.কে
১৯ মার্চ ২০২৪