ইরান কাতার ও ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বলেছে, এটি ছিল “আমেরিকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ও সফল প্রতিক্রিয়া”। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বার্তায় ইরান জানায়, আল-উদেইদ ঘাঁটির ওপর তারা সরাসরি হামলা চালায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর আগে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় — ইসফাহান, নাতানজ ও ফোর্ডো — বাংকার-বাস্টার বোমা ফেলে বড় ধরনের হামলা চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ইরান এই হামলার দাবি করে।
কাতার জানায়, আল-উদেইদ ঘাঁটিতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সফল হয়েছে। দোহা শহরের আকাশে মানুষ ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রতিরোধী ব্যবস্থা কার্যকর হতে দেখেছে।
প্রথমে খবর ছড়ায়, ইরাকেও মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে, তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা পরে জানান, কেবল কাতারেই হামলার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে জরুরি বৈঠকে ছিলেন। পরে তিনি ট্রুথ সোশ্যাল-এ লেখেন, ইরানের হামলা ছিল “খুব দুর্বল”, যা “প্রত্যাশিত” এবং “কার্যকরভাবে প্রতিহত” করা হয়েছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, “ইরান আগেই সতর্ক করেছিল, যার ফলে কোনো প্রাণহানি হয়নি। আমি আশা করি, তারা তাদের রাগ ঝেড়ে ফেলেছে এবং এখন শান্তির পথে হাঁটবে।”
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, “আমরা কারো অধিকার লঙ্ঘন করিনি এবং কাউকে তা করতেও দেব না। আত্মসমর্পণ নয়, প্রতিরোধই ইরানের পথ।”
হামলার আগে কাতার সতর্কতামূলকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। এরপর কুয়েত, বাহরাইন ও ইরাকও আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখে। ইতিহাদ ও ওমান এয়ার তাদের কিছু ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করেছে।
এটি মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার এক নতুন ও গুরুতর মোড়, যা আরও বিস্তৃত সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
সূত্রঃ স্কাই নিউজ
এম.কে
২৪ জুন ২০২৫