6.2 C
London
December 27, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

‘আয়নাঘরের’ প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিশন, ৪০০ অভিযোগ

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন ‘আয়নাঘরের’ প্রমাণ পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) গুলশানে বলপূর্বক গুম সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।

তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, কমিশন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) ভবনে গিয়ে দোতলা ভবনটিতে ২২টি সেল খুঁজে পায়, যেগুলো কাউকে বন্দী রাখার জন্য ব্যবহৃত হতো।

তিনি বলেন, কমিশন কাজ শুরুর পর গত ১৩ কার্যদিবসে তাদের কাছে মোট ৪০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। কমিশন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) ভবনে গিয়ে দোতলা ভবনটিতে ২২টি সেল খুঁজে পায়, যেগুলো কাউকে বন্দী করে রাখার জন্য ব্যবহৃত হতো।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‌‘যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন, তাদের অভিযোগ আমরা আমলে নিয়েছি। আমরা অভিযুক্তদের তলব করব। তারা কমিশনে হাজির না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ অভিযোগই র‌্যাব, পুলিশের গোয়েন্দা শাখা, ডিজিএফআই ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বিরুদ্ধে। আমরা ২৫ সেপ্টেম্বর আয়নাঘর এবং ১ অক্টোবর ডিবি ও সিটিটিসি প্রাঙ্গন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। আমরা সেখানে কোনো বন্দী খুঁজে পাইনি। কারণ, আমাদের মনে হয় বন্দীদের সবাইকে গত ৫ আগস্টের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তির সন্ধানে এ কমিশন করা হয়।

এম.কে
০৩ অক্টোবর ২০২৪

আরো পড়ুন

ভেসে আসা টর্পেডো কোন দেশের তা নিয়ে শঙ্কা

ভারতের হস্তক্ষেপের অবসান চেয়ে বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ৫ নাগরিকের বিবৃতি

‘এখনো পাই নি, যোগাযোগও সম্ভব না, ইভ্যালির জন্য শুভ কামনা’

অনলাইন ডেস্ক