ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে ইউকে হতে যে আশ্রয়প্রার্থী আয়ারল্যান্ডে প্রবেশ করেছে তাদের আর ফিরিয়ে নেবে না যুক্তরাজ্য। গত সপ্তাহে, আইরিশ সরকার যুক্তরাজ্য হতে উত্তর আয়ারল্যান্ড হয়ে যারা আয়ারল্যান্ডে প্রবেশ করেছে তাদের ফিরিয়ে দিতে জরুরি আইন ঘোষণা করেছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
তবে যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রীর সরকারী মুখপাত্র বলেছেন যুক্তরাজ্যের উপর নির্ভর করবে “আমরা কাকে গ্রহণ কিংবা ফিরিয়ে দিবো” এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।
আইরিশ এবং যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা আজ সোমবার আশ্রয় ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করেছেন বলেও জানা যায়।
যুক্তরাজ্য্য প্রধানমন্ত্রীর সরকারী মুখপাত্র আরও জানান, ” এটা স্পষ্টত যে আমরা ইইউ থেকে রিটার্ন গ্রহণ করা শুরু করব না ঠিক তেমনি যেমন ফ্রান্স যুক্তরাজ্য হতে আশ্রয়প্রার্থী ফিরিয়ে নেয় না। আয়ারল্যান্ড যদি আইন পাস করতে পারে তবে আমরাও সিদ্ধান্তে অটল থাকবো আশ্রয়প্রার্থী ফিরিয়ে না নিতে।”
আইরিশ সরকার বলছে যুক্তরাজ্য হতে উত্তর আয়ারল্যান্ড হয়ে আশ্রয়প্রার্থীরা আয়ারল্যান্ডে পালিয়ে আসছে কারণ কেউ রুয়ান্ডা যেতে চায় না। রুয়ান্ডা একটি “ভয়ঙ্কর” দেশ।
আয়ারল্যান্ড বলেছে সাম্প্রতিক সময়ে আশ্রয়প্রার্থীদের ৮০% উত্তর আয়ারল্যান্ড হয়ে প্রবেশ করেছে। রুয়ান্ডা নীতি নামক উদ্ভট নীতি গ্রহণ করায় মানুষ ভয় পেয়ে আয়ারল্যান্ডের দিকে স্রোতের মতো প্রবেশ করছে। এই দায় তাই যুক্তরাজ্যকেই নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আয়ারল্যান্ডের যুক্তিকে খাটো করতে গিয়ে বলেছিলেন, রুয়ান্ডা আশ্রয় নীতি একটি প্রতিরোধক আইন হিসাবে কার্যকর হবে যা আয়ারল্যান্ডও ইতোমধ্যে বুঝতে পেরেছে। কিন্তু তার এই বক্তব্য ভালোভাবে গ্রহণ করেনি আয়ারল্যান্ড।
রবিবার আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেন, ” অন্য কারও মাইগ্রেশন নীতি আমাদের নিজেদের অখণ্ডতাকে প্রভাবিত করতে আমি দেবো না”।
তিনি জানান মঙ্গলবার মিসেস ম্যাকেন্টিকে মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া আনতে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যাতে আশ্রয়প্রার্থীদের আবার যুক্তরাজ্যে ফেরত পাঠানো যায়।
উল্লেখ্য যে রুয়ান্ডা নীতিমালার অধীনে, অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে আগত যে কাউকে পূর্ব আফ্রিকার দেশে নির্বাসনে পাঠানো হবে।
এই পরিকল্পনাটি গত সপ্তাহে সংসদ দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল, যা গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক বিভ্রান্তি এবং আইনী চ্যালেঞ্জের পরে নির্ধারিত হয়। যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে তারা ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে রুয়ান্ডার উদ্দেশ্যে তাদের প্রথম উড়োজাহাজ উড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
গতকাল রবিবার হোম অফিস নিশ্চিত করেছে রুয়ান্ডায় প্রথম উড়োজাহাজ উড়ানোর প্রস্তুতি হিসাবে আগত সপ্তাহ হতে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছিল সোমবার হতেই সাঁড়াশি অভিযানের কাজ শুরু করবে যুক্তরাজ্য হোম অফিস।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান / বিবিসি
এম.কে
২৯ এপ্রিল ২০২৪