13.5 C
London
November 25, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

আরমানকে মুক্ত করতে টিউলিপের ছিল অনীহা

দীর্ঘ ৮ বছর নিখোঁজ থাকার পর গত ৫ আগস্ট মধ্যরাতে ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি পান জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আহমাদ বিন কাশেম আরমান। ৬ আগস্ট পরিবারের কাছে ফেরেন তিনি। এরপর থেকেই আয়নাঘরে তার ‘বন্দিদশা’ নিয়ে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য সামনে আসছে।

এর মধ্যেই শনিবার (১৭ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ আরমানের পরিবারের বরাত দিয়ে চাঞ্চল্যকর আরো একটি তথ্য জানিয়েছে।

এক প্রতিবেদনে টেলিগ্রাফ জানায়, কাশেম আরমানকে ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্ত করতে যুক্তরাজ্যের ‘সিটি মিনিস্টার’ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে সহায়তা চেয়েছিল তার পরিবার। তবে তারা সহায়তা পাননি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খালা শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় এক দশক ধরে আটক ব্রিটিশ-প্রশিক্ষিত ব্যারিস্টার কাশেম আরমানকে সাহায্য করার কোনো আগ্রহ ছিল না টিউলিপের। লেবার পার্টি থেকে জয় পাওয়া টিউলিপ সিদ্দিক গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

এতে আরও বলা হয়, ২০১৬ সালে নিখোঁজ হওয়া ৪০ বছর বয়সী কাশেম আরমানের আইনজীবীরা বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবহার করে তাকে ‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি দিতে পারতেন। তবে তিনি তা করেননি।

টেলিগ্রাফ লিখেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে, টানা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার শাসনামলে বিরোধীদের আক্রমণ করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় এবং গোপনে বন্দি করা হয় অনেককে। একই সঙ্গে চলেছে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডও। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট ব্যারিস্টার আহমাদ বিন কাশেম আরমানকে নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

আইনজীবীরা বলেছেন, কাশেম আরমানকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন তার পরিবারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। এক হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা এবং শত শত মানুষের গুমের জন্যও তারা দায়ী।

আইনজীবী মাইকেল পোলাক বলেন, ‘আয়নাঘর নামক একটি গোপন অভ্যন্তরীণ বন্দিশালায় কাশেম আরমানকে বন্দী করে চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। ভয় ছিল, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘কাশেম আরমানকে আটক করা শেখ হাসিনার নীতির প্রতিফলন। এটা স্পষ্ট যে, তার শাসনামলে জোরপূর্বক গুম এবং নির্বিচারে আটক রাখার একটি সরকারি নীতি ছিল। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশেম আরমনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’

এই আইনজীবী বলেন, ‘আমি এবং কাশেম আরমানের পরিবার উভয়ই কাশেম আরমানকে মুক্তি দিতে টিউলিপ সিদ্দিককে তার খালার কাছে তদবির করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু আমরা কোনো সহায়তা পাইনি। তিনি আমাদের কোনো সহায়তা করেননি।’

সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ

এম.কে
১৮ আগস্ট ২০২৪

আরো পড়ুন

লন্ডনে বেক্সিমকোর ‘দুই যুবরাজের’ ৮৪৬ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-বাড়ি

ধর্ষণ থেমে নেই সিলেটে

অনলাইন ডেস্ক

৪৮ ইন্টারনেট সেবাদাতার লাইসেন্স বাতিল করলো বিটিআরসি