রুয়ান্ডার মতো একইভাবে যৌথ উদ্যোগে আশ্রয়প্রার্থীদের স্থানান্তরের জন্য যুক্তরাজ্য আরও পাঁচটি আফ্রিকান দেশের সাথে আলোচনা করছে বলে জানা যায়। দ্য টাইমসের সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে।
ঘানা, মরক্কো, নামিবিয়া, নাইজার এবং নাইজেরিয়া- এই পাঁচটি দেশের সাথে যুক্তরাজ্য শরনার্থীদের স্থানান্তরিত চুক্তিতে আলাপ করেছে বলে খবরে প্রকাশিত হয়।
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচীর সাম্প্রতিকতম মানব উন্নয়ন সূচকে (HDI) নাইজার বিশ্বের সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিংয়ে রয়েছে। এইচডিআই হচ্ছে মানব উন্নয়নের মূল মাত্রাগুলোর গড় অর্জনের একটি সংক্ষিপ্ত পরিমাপ। একটি দীর্ঘ এবং স্বাস্থ্যকর জীবন, জ্ঞানী হওয়া এবং একটি শালীন জীবনযাত্রার মান নির্ধারক।
এদিকে, সীমান্ত ও অভিবাসন কর্মীদের জন্য আইএসইউ ইউনিয়নের পেশাদার কর্মকর্তা লুসি মোরটন, আই সংবাদপত্রকে বলেছেন, রুয়ান্ডা নীতি মানুষকে মোটেই নিরুৎসাহিত করছে না এবং এমনকি সাম্প্রতিক আশ্রয়প্রার্থীদের ক্রসিং-এর সংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। শিল্প খাত প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, এই সপ্তাহে শুধুমাত্র সোমবার ১২৯৫ জন অভিবাসী যাত্রা করেছে।
মোরটন আই সংবাদপত্রকে বলেছেন, ‘পাচারকারীরা তাদের শিকারদের বুঝিয়েছে রুয়ান্ডা স্কিম কার্যকর হওয়ার আগে তাদের যুক্তরাজ্যে যেতে হবে।’
উল্লেখ্য, রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থীদের স্থানান্তরিত করার জন্য সরকারের নীতির বৈধতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হাইকোর্টের শুনানি আগামী মাসের শুরুতে শুরু হতে চলেছে।
২৫ আগস্ট ২০২২
এনএইচ