যুক্তরাজ্যের শরণার্থী হোটেলের বাইরে সহিংস বিক্ষোভের পর পুলিশ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ডে আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ঘটনাটি ঘটেছে।
ইংল্যান্ডের লিভারপুলের কাছে আশ্রয়প্রার্থীদের থাকার জন্য ব্যবহৃত একটি হোটেলের বাইরে শরণার্থী বিরোধী বিক্ষোভ সহিংস হয়ে যাওয়ার পরে পুলিশ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।
মার্সিসাইড পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে শুক্রবার রাতে গোলযোগের সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং দুই বেসামরিক ব্যক্তি সামান্য আহত হয়েছেন। পুলিশ বাহিনী জানিয়েছে, কিছু বিক্ষোভকারী পাথর ও নানা ধরনের জিনিসপত্র ছুড়ে মারে এবং একটি পুলিশ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বয়স ১৩ থেকে ৫৪, তাদের “হিংসাত্মক আক্রমণের জন্য” আটক করা হয়েছে।
মার্সিসাইডের পুলিশ কমিশনার এমিলি স্পুরেল বলেছেন, “এই আক্রমণ খুবই বিপদজনক ছিল এবং পুলিশ অফিসারদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।”
হোম অফিস গত বছর থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য হোটেলটি ব্যবহার করে আসছে।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে জর্জ হাওয়ার্থ বলেছেন, “নোসলির লোকেরা ধর্মান্ধ বা রেসিস্ট নয়। নিরাপত্তার জায়গার সন্ধানে বিশ্বের সবচেয়ে বিপদজনক স্থান থেকে পালিয়ে আসা লোকদের তারা স্বাগত জানিয়েছে”।
তিনি বলেন, “যারা আজ রাতে উদ্বাস্তুদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে তারা নোসলি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না।”
স্থানীয় লোকেরা জানান, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক শরণার্থী এবং অভিবাসীরা ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে বিক্ষোভটি হয়েছে। ২০২২ সালে ৪৫০০০ এরও বেশি লোক এই পথ দিয়ে ইউকে পৌঁছে এবং বেশিরভাগই ইংল্যান্ডে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিল।
রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এসাইলামের আবেদন পদ্ধতি ধীর হয়ে গেছে, যার ফলে অনেক আশ্রয়প্রার্থী হোটেল বা অন্যান্য অস্থায়ী বাসস্থানে আটকে পড়েছে। চ্যানেল ক্রসিং একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে, যেখানে কনজারভেটিভ সরকার “নৌকা থামানোর” প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং এই ধরনের আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোরও পরিকল্পনা করছে।
এম.কে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সূত্র: এসটিভি নিউজ