গত বছরের নির্বাচনে নিজের পার্লামেন্ট আসন হারানোর পর ৫৫ বছর বয়সী সাবেক এক ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এ খবর জানিয়েছে।
গ্লুচেস্টারশায়ারের ফিল্টন ও ব্র্যাডলি স্টোকের নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্বকারী সাবেক কনজারভেটিভ এমপি জ্যাক লোপ্রেস্টি এখন কিয়েভে অবস্থান করছেন।
২০২২ সালে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার পর থেকে ইউক্রেন বিদেশি যোদ্ধাদের নিয়োগ দিয়ে আসছে।
ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের আর্মি রিজার্ভে কর্পোরাল হিসাবে কাজ করা সাবেক এমপি জ্যাক লোপ্রেস্টি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে ‘তার দক্ষতা কাজে লাগাচ্ছেন’।
গত জুনের নির্বাচনে টোরি সরকারের পতনের কয়েক মাস পর নভেম্বরে লোপ্রেস্টি ইউক্রেন ভ্রমণ করেন। এরপর থেকে তিনি বিদেশি যোদ্ধাদের জন্য সামরিক ইউনিট কিয়েভের ‘ইন্টারন্যাশনাল লিজিয়নে’ যোগ দেন।
কিয়েভের সেনাবাহিনীতে সাবেক এই এমপির বর্তমান দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক সম্পর্ক এবং কূটনীতি, অস্ত্র সংগ্রহ এবং ইউক্রেনে কর্মরত প্রবীণ ও দাতব্য সংস্থার সাথে কাজ করা। তিনি অফিসার পদে পদোন্নতির আশাও করছেন।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের সঙ্গে আলাপকালে লোপ্রেস্টি ইউক্রেনের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি দাবি করেন, সেনাদের মনোবল এখনো তুঙ্গে।
কিন্তু তার এই ভাষ্য মিডিয়া রিপোর্টের সম্পূর্ণ বিপরীতে। কেননা ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী লড়াইয়ের ক্লান্তিতে দুর্বল হয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, জোরপূর্বক বাধ্যতামূলক নিয়োগের শিকার অনেক ইউক্রেনীয় নাগরিক ফ্রন্ট লাইনে প্রায় নিশ্চিত মৃত্যুর জন্য দিন গুনছেন।
সূত্রঃ দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট
এম.কে
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫