যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এবার জাতিসংঘ অধিবেশনে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানাচ্ছে বাংলাদেশকে নিজের পক্ষে টেনে আনতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে তীব্র বিনিয়োগ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশ-ভারত সরকারের ড. ইউনূস এবং মোদির মধ্যে কোনো সাক্ষাৎ হয়নি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের রাষ্ট্রপ্রধানরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. ইউনূসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। দুটি দেশের তরফে বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগ আসছে বলেই খবর প্রকাশ করেছে আর্ন্তজাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ‘নতুন একটি অধ্যায়’ খুলতে চাই। এর মাধ্যমে অতীতের মতো সব উন্নয়ন কাজের অংশীদার হবে চীন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সৌজন্য সাক্ষাতে ড. ইউনূস বলেন, চীনা সৌর কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে, যা অনেক ধনী দেশের কাছে পছন্দের বাজারে প্রবেশাধিকার ভোগ করে।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক ইউনূসকে ‘চীনা জনগণের পুরোনো বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার, ডিজিটালাইজেশন, তারল্য, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহণ খাতে সংস্কারের জন্য সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে বিশ্বব্যাংক।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের চাপে বন্ধ থাকা সার্ক গোষ্ঠীর সম্মেলন পুনরায় চালু করতে উদ্যোগী হয়েছেন ড. ইউনূস। দক্ষিণ এশিয়ার এই আঞ্চলিক জোটের অধিবেশন ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক দ্বৈরথে বন্ধ হয়ে আছে।
জাতিসংঘ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস। সার্কের সদস্য হতে চীন দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করছে। তাদের সমর্থনে সার্ক সম্মেলনে বারবার প্রস্তাব তুলেছিল পাকিস্তান।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪