সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপের অন্যান্য শহরের তুলনায় লন্ডনে সড়কগুলো থেকে সৃষ্ট বায়ু দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাজ্যের আরো দুটি নগরঅঞ্চল ম্যানচেস্টার এবং ওয়েস্ট মিডিল্যান্ডস এই তালিকায় যথাক্রমে ১৫ এবং ১৯ নম্বর অবস্থানে রয়েছে।
এই গবেষণায় যুক্তরাজ্য, নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭টি দেশের অর্থাৎ মোট ৩০টি দেশের নগরগুলোতে সড়কে যানবাহন থেকে সৃষ্ট সামাজিক ব্যয়ের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়। একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশে দীর্ঘদিন জীবনধারণে ব্যহত করা বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে এখানে। অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
গবেষকরা এতে ২০১৮ সালের ইউরোস্ট্যাট পলিউশান অ্যান্ড ডেমোগ্রাফিক তথ্য এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিকনির্দেশোনা ব্যবহার করেছেন। আর গবেষণাপত্রটি ইউরোপ জুড়ে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত ইউরোপিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যালায়েন্স (ইপিএইচএ) প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, নগরগুলোর ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বছরে গড়ে ১৫০ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হয় এই দূষণ থেকে। দেখা গেছে, ইউরোপের শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে লন্ডন। এক বছরে লন্ডন সবচেয়ে বেশি সামাজিক ব্যয় (১০.৩২ বিলিয়ন পাউন্ড) বহন করে। ইউরোপের অন্য শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে বুখারেস্ট (৫.৭৫ বিলিয়ন পাউন্ড), বার্লিন (৪.৮৫ বিলিয়ন পাউন্ড), ওয়ার্সা (৩.৮৩ বিলিয়ন পাউন্ড), রোম (৩.৭৬ বিলিয়ন পাউন্ড) এবং প্যারিস (৩.১৮ বিলিয়ন পাউন্ড)।
ইউরোপের বেশিরভাগ শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। দূষণ কমাতে বিভিন্ন শহরে পরিবহননীতির পরিবর্তন আনতে বলা হয়েছে। অনেক শহরেই পথচারী ও সাইকেল চলাচলের জন্য সড়কে বেশি জায়গা বরাদ্দ করেছে।
এদিকে অনেক দেশ ডিজেল এবং পেট্রোলচালিত চাড়ি বিক্রি নিষিদ্ধ করতে চলেছে। জানা যায়, জার্মানি, নেদারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড ২০৩০ সালের মধ্যে পেট্রোল কার বিক্রি বন্ধের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে পেট্রোল কার বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যও।
২৪ অক্টোবর ২০২০
এনএইচ
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান