একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নৌপথে ইউরোপে দেশের একটি অঞ্চলে গত দুই বছরে ৭০-৮০ জনকে পাচার করা হয়েছে। ইউরোপে ধারাবাহিক মানবপাচারের কারণে কেরানীগঞ্জের আশিকের নাম হয়ে রায় ইউরো আশিক।
তার পরিচালিত চক্রটি ইউরোপ যেতে ইচ্ছুকদের নির্বাচিত করে টুরিস্ট ভিসায় দুবাই হয়ে লিবিয়া পাঠায়। একটি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে চক্রটির যোগসাজশের তথ্য পাওয়া গেছে। নির্ধারিত টাকা পরিশোধ হলে সুবিধামতো সময়ে ভূমধ্যসাগর হয়ে নৌকাযোগে বিপদজনক ইউরোপযাত্রা শুরু হয়।
রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের এই পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৭টি পাসপোর্ট, ১৪টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ২টি এটিএম, ১৫টি ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার বই, ২টি হিসেবের নথি, ২টি এনআইডি কার্ড, ১০টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫৬ হাজার ৬৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গত শনিবার (১০ জুলাই) র্যাব সদরদফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৮-এর সমন্বিত অভিযানে ইউরো আশিকসহ (২৫) এই চক্রের সাত জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- আজিজুল হক (৩৫), মিজানুর রহমান মিজান (৪৩), নাজমুল হুমা (৩১), সিমা আক্তার (২৩), হেলেনা বেগম (৪২) ও পলি আক্তার (৪৩)।তাদের আটক করা হয় মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী থেকে।
এ সম্পর্কিত আরও সংবাদ:
ইউরোপের মানবপাচার চক্রের প্রধান সমন্বয়ক ‘ইউরো আশিক’সহ গ্রেফতার ৭
১১ জুলাই ২০২১
এনএইচ