ইউরোপের দেশগুলোতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ যখন লাফিয়ে বাড়ছে এবং কোভিড বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, যুক্তরাজ্য তখন কিছুটা স্বস্তিতে। এই প্যানডেমিকে ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখা যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই কমে এসেছে। তবে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নাগরিকদের সতর্ক করে বলেন, আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া সক্রমণ আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে প্যানডেমিক এখনও চলে যায়নি। ইউরোপের বিভিন্ন অংশে বিপদ ঘনিয়ে আসতে দেখতে পাচ্ছি। তাই বুস্টার জ্যাব নেওয়ার প্র্যোজনীয়তা আগের থেকে আরও স্পষ্ট।
জনগণকে বুস্টার জ্যাব বা তৃতীয় ডোজের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এই কাজটি দ্রুত না করতে পারলে ইউরোপের অন্যান্য অংশের মতো আমরাও ঝুঁকিতে পরে যাবো।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী (১২ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের দৈনিক কোভিড পজিটিভ সনাক্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ৩৭৫। আগের সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে কোভিড সনাক্তের হার ৭ শতাংশ কমেছে। আর এক সপ্তাহে মৃত্যু কমেছে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে আক্রান্তের সবচেয়ে বেশি বাড়তে দেখা গেছে অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিতে। যুক্তরাজ্যের প্রতি দশলাখ লোকের মধ্যে দৈনিক ৫০০ জন পজিটিভ সনাক্ত হচ্ছেন। এই হিসেবে অস্ট্রিয়ায় আক্রান্তের হার ইউকের দ্বিগুণ।
নেদারল্যান্ডসেও আক্রান্তের হার যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে তিন সপ্তাহের আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
জার্মানিতে সংক্রমণের হার যুক্তরাজ্যের থেকে কম থাকলেও তা গত এক মাসে লাফিয়ে বাড়ছে।
১৩ নভেম্বর ২০২১
সূত্র: বিবিসি