লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে স্থানীয় বাংলাদেশিরা আবারও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। শনিবার বিকেলের এ বিক্ষোভে শতাধিক মানুষ অংশ নেন এবং তারা রায়টির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান।
এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আবারও আলোচনায় আসেন ব্রিটেনের বিতর্কিত ও সমালোচিত অ্যান্টি-ইমিগ্রেশন কর্মী টমি রবিনসন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে দাবি করেন, “যদি বাংলাদেশ নিয়ে এত চিন্তা থাকে, তাহলে তাদের ধরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দাও।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আমাদের রাস্তায় বিদেশিদের ঝামেলায় আমরা ক্লান্ত।”
তার এই মন্তব্য মুহূর্তেই তীব্র বিতর্ক তৈরি করে। সমালোচকদের মতে, রবিনসন দীর্ঘদিন ধরেই অভিবাসনবিরোধী বক্তব্য এবং সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য পরিচিত। তাই তার কথাবার্তা নতুন কিছু নয়। তবে একাংশের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—বর্তমান ইমিগ্রেশন পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেনে যখন উদ্বেগ বাড়ছে, তখন বিদেশিদের বারবার রাস্তায় নেমে রাজনৈতিক ইস্যুতে বিক্ষোভ করা কতটা যুক্তিসঙ্গত?
সামাজিক বিশ্লেষকদের মতে, অভিবাসীরা যুক্তরাজ্যের আইনের মধ্যে থেকে মতপ্রকাশের অধিকার রাখলেও, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিদেশের মাটিতে ধারাবাহিক বিক্ষোভ করলে তা স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। বিশেষ করে এমন সময়ে, যখন ইমিগ্রেশন নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে এবং শরণার্থী–অভিবাসন নীতি নিয়ে সরকার কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।
স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির কয়েকজন জানালেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এটি কোনোভাবেই ব্রিটেনবিরোধী কর্মকাণ্ড নয়। তবে তারা এটিও স্বীকার করেন, বিদেশের মাটিতে অতিরিক্ত রাজনৈতিক প্রদর্শন অনেক সময় নেতিবাচক আলোচনার জন্ম দেয়।
টমি রবিনসনের বক্তব্যকে ঘিরে এ বিতর্ক নতুন করে দেখিয়ে দিল—অভিবাসন, পরিচয় ও রাজনৈতিক মতপ্রকাশ নিয়ে ব্রিটেনে উত্তেজনা এখনও উচ্চমাত্রায় রয়েছে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে

