ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালায়, তবে তারা এমন “অপূরণীয় ক্ষতির” মুখোমুখি হবে যা থেকে কখনোই পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, “তাদের ক্ষতি ইরানের ক্ষতির চেয়েও অনেক বেশি হবে” এবং “এই হস্তক্ষেপ শতভাগ উল্টো ফল বয়ে আনবে।”
এমন সময়ে এই বক্তব্য এল যখন ইসরায়েল এবং ইরান একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, ইরানে দুটি সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, “খামেনি একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু।” যদিও তিনি বলেন, “আমরা এখনই তাকে হত্যা করছি না,” তবে তেহরানের “নির্বিচার আত্মসমর্পণ” চায় হোয়াইট হাউস। ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে যুদ্ধের হুমকি হিসেবেই দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।
খামেনি পাল্টা জবাবে বলেন, “ইরানি জাতিকে কখনোই জোর করে আত্মসমর্পণ করানো যাবে না।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “আমেরিকার জড়িত থাকার সন্দেহ দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে তাদের নিজস্ব কথায়।”
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্জ G7 সম্মেলনের ফাঁকে বলেন, “ইসরায়েল পশ্চিমাদের হয়ে কঠিন কাজটি করছে।” G7 নেতারা ইরানকে “মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা ও সন্ত্রাসের মূল উৎস” বলে আখ্যা দিয়েছে এবং সহিংসতা হ্রাসে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামাজিক মাধ্যমে হুমকি দিয়ে বলেন, “তেহরানের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাচ্ছে,” এবং “এভাবেই একনায়কতন্ত্রের পতন ঘটে।”
এই সংঘাতের ফলে তেলসমৃদ্ধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে; বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝুঁকছেন, যেমন সোনা ও ডলার। পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
সূত্রঃ সিএনবিসি
এম.কে
১৮ জুন ২০২৫