যুক্তরাষ্ট্র ইরানের চাবাহার বন্দরে দেওয়া ছাড় প্রত্যাহার করেছে, যা ভারতের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত বাণিজ্য পরিকল্পনায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। আফগানিস্তান হয়ে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ভারত বহু বছর ধরে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করে আসছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ইরান ফ্রিডম অ্যান্ড কাউন্টার-প্রোলিফারেশন অ্যাক্ট (IFCA) এর অধীনে আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দেওয়া ছাড় আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে আর কার্যকর থাকবে না। এর ফলে চাবাহার বন্দরের কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তকে তেহরানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে করার নীতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্কিন প্রশাসন বহু বছর ধরে ইরানের বিরুদ্ধে “ম্যাক্সিমাম-প্রেশার পলিসি” বা সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশল অনুসরণ করছে।
ভারতের জন্য এই সিদ্ধান্ত বড় ধাক্কা। গালফ অব ওমানের চাবাহার বন্দরে শাহিদ বেহেশতি টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় সংস্থা ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড। ২০২৪ সালের ১৩ মে ভারত ও ইরানের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হয়, যা ২০১৬ সালের প্রাথমিক চুক্তিকে প্রতিস্থাপন করে এবং এতদিন তা প্রতি বছর নবায়ন করা হচ্ছিল।
চাবাহার বন্দরকে ভারত শুধু একটি বাণিজ্যকেন্দ্র নয়, বরং আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ায় চীনের প্রভাব মোকাবিলার কৌশলগত করিডোর হিসেবে দেখে আসছে। কিন্তু ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রমকে বারবার মন্থর করেছে।
এখন যুক্তরাষ্ট্রের ছাড় প্রত্যাহার ভারতের প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। কূটনৈতিক মহল বলছে, এই পরিস্থিতি শুধু ভারতের কৌশলগত বিনিয়োগেই নয়, বরং গোটা অঞ্চলের বাণিজ্য সংযোগ পরিকল্পনাতেও প্রভাব ফেলবে।
সূত্রঃ জিও টিভি
এম.কে
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫