লন্ডনের ইলফোর্ডে এক বাংলাদেশি পরিবার গত ছয় মাস ধরে একটি ছোট হোটেল কক্ষে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রেডব্রিজ কাউন্সিলের বরাদ্দ করা ওই অস্থায়ী আশ্রয়ে ছয়জন সদস্য—বৃদ্ধ বাবা-মা, দম্পতি ও দুই শিশু—একই রুমে গাদাগাদি করে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
পরিবারপ্রধান এমডি মীর মাসুক অভিযোগ করেছেন, কাউন্সিলের দেওয়া আশ্রয়টি “পরিবারের জন্য উপযুক্ত” বলে ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে সেখানে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করা অসম্ভব। তিনি বলেন, “আমাদের দুই শিশু ছোট বয়সেই ঘুমাতে হয় মেঝেতে, আর আমার বৃদ্ধ মা-বাবা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। এখানে না আছে যথেষ্ট জায়গা, না আছে গোপনীয়তা।”
ইলফোর্ড রেকর্ডার-এর হাতে থাকা নথিতে দেখা গেছে, রেডব্রিজ কাউন্সিল বাথার্স্ট রোডের ওই রুমটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে “সেফ অ্যান্ড সুইটেবল ফর ফ্যামিলি ইউজ” হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন—একটি ছোট বেড, অল্প কিছু আসবাব, আর রান্না বা শিশুদের খেলাধুলার কোনো আলাদা স্থান নেই।
স্থানীয় অধিকারকর্মীরা বলছেন, এটি শুধু একটি পরিবারের সমস্যা নয়—পুরো লন্ডনজুড়েই অস্থায়ী আবাসন সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অনেক পরিবার বছরের পর বছর “টেম্পোরারি অ্যাকোমোডেশন”-এ আটকে আছে। রেডব্রিজ হাউজিং অ্যাকশন গ্রুপের এক মুখপাত্র বলেন, “এই ধরনের পরিস্থিতি অনৈতিক ও অমানবিক। কাউন্সিলগুলোকে দ্রুত স্থায়ী ও মর্যাদাপূর্ণ আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।”
মীর মাসুকের পরিবার এখনো কাউন্সিলের কাছে পুনর্বাসনের আবেদন করে অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু কবে নাগাদ তাদের স্বস্তির নিশ্বাস মিলবে—তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে

