টিভিথ্রি ডেস্ক: নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চুক্তিতে পৌঁছেছে ইসরাইল-সংযুক্ত আরব আমিরাত। বৃহস্পতিবারের (১৩ আগস্ট) এই ঘোষণায় অবাক হয়েছেন ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ এবং তাদের নীতিনির্ধারকরাও। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পুরো ফিলিস্তিন জুরে এখন এচুক্তির বিপক্ষে চলছে নিন্দার ঝড়।
চুক্তি অনুযায়ী নিরাপত্তা, পর্যটন, প্রযুক্তি, বাণিজ্যসহ সবক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয় তেল আবিব-আবুধাবি। চুক্তির বিনিময়ে পশ্চিমতীরে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা স্থগিত করে ইসরাইল।
সাবেক ফিলিস্তিনি মন্ত্রী মুনিব আল মাসরি বলেন, শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ২০০৪ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ বছর আবুধাবি শাসন করেন। তিনি সবসময় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছেন। আমি কখনো ভাবতেই পারিনি আমরা জীবদ্দশায় এমনটা দেখতে হবে যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত শুধুমাত্র সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অজুহাতে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে প্রতারণা করবে। এটা খুবই লজ্জাজনক। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না।
জানা যায়, প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল অথিরিটি, হামাস, ইসলামি জিহাদসহ স্থানীয় সব গোষ্ঠী বিবৃতি দিয়ে ইসরাইল-আমিরাত চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে। প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের চুক্তি। একে পিঠে ছুরিকাঘাত বলে আখ্যা দিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। এ চুক্তি ট্রাম্পকে এবং নেতানিয়াহুকে নির্বাচনে জয়ী হতে সহায়তা করবে বলেও মত তাদের।
যদিও আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ বলেছেন, ইসরাইলি সংযোজন পরিকল্পনা বন্ধের লক্ষ্যে এ চুক্তি করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা বলেছেন, তার এ দাবির গ্রহণযোগ্যতা খুবই কম।
তাছাড়া, আমিরাতের চুক্তি পশ্চিমতীরে সার্বভৌমত্ব বাড়ানো থেকে ইসরাইলকে বিরত রাখতে পারবে কী না এ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন ফিলিস্তিনি নেতারা। এ ঘোষণা ইসরাইলের দখলদারী অবসানে বিক্ষোভ, প্রতিবাদে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না বলে জানান তারা।
১৪ আগস্ট ২০২০
এনএইচটি