ইসরায়েলকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে সৌদি আরব। রিয়াদ জানিয়েছে, পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণই তাদের জন্য রেড লাইন। যদি ইসরায়েল এ সীমা অতিক্রম করে, তবে সৌদি আরব সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
রবিবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বর্তমান ধারার প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিম তীরের যে কোনো অংশ সংযুক্ত করলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। সৌদি কী পদক্ষেপ নিতে পারে তা নির্দিষ্ট না করলেও ধারণা করা হচ্ছে, তারা সৌদি-ইসরায়েলি স্বাভাবিকীকরণের সম্ভাবনাকে বাতিল ঘোষণা করতে পারে। এছাড়া আবারও ইসরায়েলি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পথ নিতে পারে রিয়াদ। ২০২২ সাল থেকে ইসরায়েল সৌদির আকাশসীমা ব্যবহার করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণ শুধু সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। এতে আব্রাহাম চুক্তিও হুমকির মুখে পড়তে পারে। আর চুক্তিটি ভেঙে গেলে নতুন করে আরব-ইসরায়েল সংঘাতের শঙ্কা দেখা দেবে। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতও পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণকে “সর্বশেষ রেড লাইন” হিসেবে উল্লেখ করে সতর্কবার্তা দিয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান সোমবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জোরদার হবে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে একই সিদ্ধান্ত নেয়। কূটনৈতিক মহল ধারণা করছে, খুব শিগগির আরও কিছু ইউরোপীয় দেশ এই ধারায় যুক্ত হবে, যা ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াবে।
সূত্রঃ রয়টার্স / দ্য টাইমস অব ইসরায়েল
এম.কে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫