পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের মধ্যবর্তী স্থানে বসতি স্থাপনের ইসরায়েলি পরিকল্পনাকে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনিরা জোরপূর্বক উচ্ছেদের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন, যা হবে যুদ্ধাপরাধের শামিল।
তবে ইসরায়েল অতীত ইতিহাসের কথা তুলে ধরে দাবি করেছে, এসব বসতি স্থাপনের ফলে ‘কৌশলগত গভীরতা ও নিরাপত্তা’ নিশ্চিত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মটরিচ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বসতি স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। এই প্রকল্প ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে ‘কবরে পাঠিয়ে দেবে’।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রোসেল এ প্রসঙ্গে বলেন, ইসরায়েলি পরিকল্পনা পশ্চিম তীরকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন এলাকায় পরিণত করে ফেলবে। অধিকৃত এলাকায় দখলদার ইসরায়েলের জনগণকে স্থানান্তর করাকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ২৭ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে প্রায় সাত লাখ ইসরায়েলি অবৈধ বসতি স্থাপনকারী বাস করেন। ১৯৮০ সালে পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েল যুক্ত করলেও অধিকাংশ দেশ এ পদক্ষেপকে স্বীকৃতি দেয়নি, আর পশ্চিম তীরে আনুষ্ঠানিক সার্বভৌমত্বও ঘোষণা করা হয়নি।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
১৬ আগস্ট ২০২৫