ইসরায়েলে এসব অস্ত্র রপ্তানি করা হলে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন ঘটিয়ে সেগুলো ব্যবহার হওয়ার ‘ঝুঁকি স্পষ্ট’ বলে উল্লেখ করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।
ইসরায়েলে কিছু অস্ত্র রপ্তানির লাইসেন্স স্থগিত করা হচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, যুক্তরাজ্যের অস্ত্রের রপ্তানি লাইসেন্স পুনপর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলে এসব অস্ত্র রপ্তানি করা হলে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন ঘটিয়ে সেগুলো ব্যবহার হওয়ার ‘ঝুঁকি স্পষ্ট’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিবিসি জানায়, ৩৫০ টির মধ্যে প্রায় ৩০ টি অস্ত্রের রপ্তানি লাইসেন্স স্থগিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ল্যামি। তবে এই লাইসেন্স স্থগিত করার মানে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়া নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন ।
গাজায় যুদ্ধ চলার মধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে যুক্তরাজ্য সরকার চাপের মুখে আছে। যদিও যুক্তরাজ্য ইসরায়েলে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ করে না। তবে তারা ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোকে ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রির জন্য রপ্তানি লাইসেন্স দেয়।
এ বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যে কনজারভেটিভ (টোরি) দলের সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানির বিষয়টি দেখভাল করা সরকারি কর্মচারিদেরকে এই রপ্তানি কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কারণ, এই অস্ত্র যুদ্ধপরাধ ঘটাতে সহায়ক হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল।
এবার যুক্তরাজ্য সরকারের কিছু অস্ত্রের রপ্তানি লাইসেন্স স্থগিতের পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে স্বগত জানিয়েছেন গ্রিন পার্টির এমপি এলি কওনস। তবে তিনি বলেন, এরপরও কিছু গুরুতর প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে প্রথম প্রশ্নই হল- কিছু লাইসেন্স স্থগিত হচ্ছে, আর বাদবাকি বহু লাইসেন্সই ছাড় পেয়ে যাচ্ছে কেন?
ওদিকে, যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্তে খুবই হতাশা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ুভ গ্যালান্ত। তিনি বলেন, “সিদ্ধান্তটি এমন এক সময়ে এল যখন আমরা ৭ টি ফ্রন্টে লড়াই করছি; আর গাজায় হামাসের ঠান্ডা মাথায় ৬ জিম্মিকে হত্যার ঘটনায় আমরা শোক করছি।”
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪