টিভিথ্রি ডেস্ক: ইসরায়েল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথম বাণিজ্যিক বিমানটি অবতরণ করেছে। শান্তি চুক্তির ঘোষণার পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে এটিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সোমবার (৩১ আগস্ট) বিবিসির খবরে বলা হয়, এল আল বিমানটি ইসরায়েলি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদলকে বহন করে তিন ঘণ্টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে। বিমানটিকে সৌদি আরব আকাশসীমা অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
সাধারণত, ইসরায়েলের বিমান চলাচলে সৌদি আরব আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত শনিবার (২৯ আগস্ট) সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৯৭২ সাল থেকে ইসরায়েলকে বয়কট করা একটি আইন বাতিল করে এবং এই মাসের শুরুতে প্রথমবারের মতো সরাসরি টেলিফোন সেবা চালু করে।
১৩ আগস্ট করা এই দুই দেশের শান্তি চুক্তির ঘোষণাটি সত্যি আশ্চর্যজনক বলে মনে হয়েছে বিশেষজ্ঞদের। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা এবং সিনিয়র উপদেষ্টা জারেড কুশনার এবং ইসরায়েলের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা মীর বেন-শাব্বাত এই সফরের প্রতিনিধিত্ব করেন। আবুধাবিতে অবতরণের পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মি. কুশনার দুই দেশে এই শান্তি চুক্তিকে একটি ‘যুগান্তকারী চুক্তি’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। বলেছিলেন, এই ফ্লাইটে যোগ দেওয়া তার জন্য একটি অভূতপূর্ব সম্মান।
তিনি আরও বলেন,অতীতকে ভুলে গিয়ে আমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
এই তিন ঘণ্টার ফ্লাইটির জন্য দুই দেশকে ৭০ বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। ইসরায়েল ও আরব আমিরাতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এতে একটি নতুন মোড় নিবে বলে ভাবা হচ্ছে।
একদিকে যেমন ইহুদি রাষ্ট্রের আঞ্চলিক স্বীকৃতি বাড়বে, অপর দিকে আরব আমিরাতের অর্থায়নে সাইবার পরাশক্তিতে সুরক্ষা সুবিধা পাওয়ার আশ্বাস আছে এতে। এদিকে আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিকর্মী’ হিসাবে তার ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করতে পারবেন ভোটের আগে, এমনটিও বলছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
সূত্র: বিবিসি
রূপান্তর: সানজানা ফারিহা
৩১ আগস্ট ২০২০
এনএইচটি