5.9 C
London
December 22, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

ইসরায়েল থেকে বিমান এল ঢাকায়, জন্ম দিয়েছে আলোচনার

ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে একটি ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিমানটি অবতরণ করে। এভিয়েশন খাত নিয়ে যাদের আগ্রহ রয়েছে, তারা বাংলাদেশের আকাশসীমার কাছাকাছি আসার আগ থেকেই কৌতূহলী নজর রাখছিলেন এই ফ্লাইটের দিকে। ইসরায়েল থেকে কেন সরাসরি ফ্লাইটটি ঢাকায় এলো, এই প্রশ্ন সবার মনে দেখা দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইসরায়েল ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আছে।কয়েক বছর আগেই বাংলাদেশি পাসপোর্টে লেখা ছিল, ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’। জাতিসংঘভুক্ত যে ২৮টি দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে যে ফ্লাইটটি এসেছিল, সেটি অপারেট করেছে ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স। বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি তেল আবিব থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টা উড়ে ঢাকায় আসে। কৌতূহলীদের প্রশ্ন, কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তাহলে ইসরায়েল থেকে ফ্লাইট এলো কেন?

জানা গেছে, ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ইসরায়েলের কোনো এয়ারলাইন্স নয়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি এয়ারলাইন। ১৯৯১ সালে ক্রিস্টোফার আলফ এই এয়ারলাইনের যাত্রা শুরু করেন। ন্যাশনাল এয়ারলাইন অন-ডিমান্ড কার্গো এবং চার্টার্ড যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট পরিচালনা করে। বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট নেই, ফলে দেশটির কোনো এয়ারলাইনের ফ্লাইট বাংলাদেশে আসতে পারবে না। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট রয়েছে। ফলে দেশটির যে কোনো এয়ারলাইন বাংলাদেশে আসতে পারবে।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ন্যাশনাল এয়ারলাইনের ফ্লাইটটি মূলত ফেরি ফ্লাইট ছিল। আমেরিকান এই এয়ারলাইনের উড়োজাহাজটিও আমেরিকায় নিবন্ধিত। ইসরায়েল থেকে ফ্লাইটটি এলেও কোনো পণ্য বা যাত্রী ঢাকায় আসেনি। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক নিতে এসেছিল কার্গো ফ্লাইটটি, যা শারজাহ ও ইউরোপের গন্তব্যে যাবে।

এম.কে
১২ এপ্রিল ২০২৪

 

আরো পড়ুন

বাংলাদেশি শ্রমিকদের বড় সুখবর দিল দক্ষিণ কোরিয়া

সিলেটে কালবেলার সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ

সেই সুফিউর রহমান হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ পররাষ্ট্র দূত?