10 C
London
November 5, 2024
TV3 BANGLA
দক্ষিণ এশিয়া

উপকূলের কাছে ৪ চীনা জাহাজ, চিন্তায় ভারত

ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে চারটি চীনা জাহাজ। ভারতের ধারণা, তাদের উদ্দেশ্য গুপ্তচরবৃত্তি। কয়েকদিন পরে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে পারে ভারত। আর এই সময়ে এলাকায় চীনা জাহাজের আনাগোনা ভারতকে চিন্তায় ফেলেছে। একই সাথে জাহাজগুলোকে নোঙর করতে দেয়া প্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কার অবস্থান কী হবে, সে দিকেও নজর রাখছে ভারত।

শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে ভারত মহাসাগরে, যে চারটি চীনা জাহাজ রয়েছে তাদের নাম শিয়াং ইয়াং হং ০১, শিয়াং ইয়াং হং ০৩, ইউয়ান ওয়াং ০৩ এবং ডা ইয়াং হাও। এদের মধ্যে শিয়াং ইয়াং হং ০১ ও ০৩ শ্রীলঙ্কার খুব কাছে চলে এসেছে। বাকি দু’টি রয়েছে কিছুটা দূরে। ইউয়ান ওয়াং ০৩ রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলের কাছে। ডা ইয়াং হাওয়ের অবস্থান ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কার মাঝামাঝি একটি জায়গায়।

জাহাজগুলোর গতিপথ বিশ্লেষণ করে ভারতীয় গোয়েন্দারা অনুমান করছেন, সেগুলোও ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার বন্দরে তারা নোঙর ফেলার অনুমতি চাইতে পারে।

কয়েক দিন আগেই অবশ্য শিয়াং ইয়াং হং ০৩ জাহাজটি নোঙর করার জন্য কলম্বোর কাছে অনুমতি চেয়েছিল বেজিং। চীনের দাবি ছিল, এই জাহাজটি গবেষণা চালানোর জন্য এই অঞ্চলে এসেছে। শ্রীলঙ্কা তখন চীনকে সেই অনুমতি দেয়নি।

কূটনৈতিক সূত্রের খবর, কিছু দিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রীলঙ্কার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তারা যেন কোনো বন্দরে চীনা জাহাজ নোঙর করার অনুমতি না দেয়। দেশের প্রবল আর্থিক সঙ্কটের সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই অনুরোধের পরেই শ্রীলঙ্কা চীনা জাহাজ নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

এর মধ্যেই শ্রীলঙ্কা একটি জার্মান গবেষণা জাহাজকে খাদ্য ও জ্বালানি তুলতে কলম্বোয় নোঙর করার অনুমতি দিয়েছিল। তাতেই আরও চটে যায় চীন।

সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরিকল্পনা রয়েছে দিল্লির। সম্ভবত এ জন্যই ২৬ থেকে ২৮ মার্চ এব‌ং ৩ থেকে ৪ এপ্রিল বঙ্গোপসাগর-ভারত মহাসাগরে এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার এলাকা ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করেছে দিল্লি। সেই সময়ে চীনা জাহাজ সেখানে পৌঁছানো উদ্দেশ্য যে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি সম্বন্ধে নজরদারি চালানো, সে বিষয়ে নয়াদিল্লির কোনো সন্দেহ নেই।

১১ মার্চ আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল ভারত। তখন সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটারের একটি এলাকাকে ‘নো ফ্লাই জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই সময়ে চীনা জাহাজ শিয়াং ইয়াং হং ০১ বিশাখাপত্তনম থেকে মাত্র ৪৬০ নটিকাল কিলোমিটার দূরে ছিল। ঠিক একই সময়ে শিয়াং ইয়াং হং ০৩ ‘গবেষণা’র জন্য মালদ্বীপের মালেতে নোঙর ফেলেছিল। তারপরেই ১৩ মার্চ নির্ধারিত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কর্মসূচি থেকে সরে যায় ভারত। চীনা জাহাজের নজরদারি এড়াতেই ভারত তখন ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা

এম.কে
২৬ মার্চ ২০২৪

আরো পড়ুন

রামদেবের বিরুদ্ধে ১ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা

সর্বোচ্চ দুই সন্তান, আসামে মুসলমানদের বিয়েতেও চাপানো হল শর্ত

তরমুজের জ্বালায় অতিষ্ঠ মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী