কানাডার উইনিপেগ শহরে স্থাপিত রানী ভিক্টোরিয়া ও রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছেন বিক্ষোভকারীরা। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কয়েকটি স্কুল থেকে শিশুদের গণকবর খুঁজে পাওয়ার পর ক্ষোভ থেকে ব্রিটিশ রানীদের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইনিপেগ শহরে ম্যানিটোবা প্রদেশের আইনসভার সামনে থাকা রানী ভিক্টোরিয়ার ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় মাটিতে পড়ে থাকা ভাস্কর্যটিকে লাথি দিতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলের কাছে থাকা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ভাস্কর্যটিও ভেঙে ফেলা হয়।
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং সাসকাচোয়ান প্রদেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আবাসিক স্কুলে এক হাজারের মতো শিশুর গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ঘটনা কানাডাজুড়ে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রানী ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে ১৮৩৭ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত কানাডা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রায় দুইশ বছর আগের এসব স্কুলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিশুদের জোর করে তাদের পরিবার থেকে আলাদা করা হতো। এরপর তাদের ওপর চালানো হতো শারীরিক ও যৌন নিপীড়ন। ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের ২০১৫ সালে প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর স্কুল থেকে শিশুদের গণকবর সন্ধানের ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন ‘এটা আমাদের দেশের ঐতিহাসিক ব্যর্থতাগুলো গভীরভাবে মূল্যায়ন করার বিষয়ে সঠিকভাবে চাপ সৃষ্টি করেছে।’
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ব্রিটিশ সরকার রানীর ভাস্কর্য অবমাননার নিন্দা জানায়’।
তিনি আরও বলেন, ‘মর্মান্তিক ঘটনায় (শিশুদের গণকবর) আমরা কানাডার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সঙ্গে আছি। আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের বিষয়টি নিয়ে কানাডা সরকারের সঙ্গে কাজ করছি।’
৩ জুলাই ২০২১
নিউজ ডেস্ক