ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী অভিবাসন প্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর বিতর্কিত প্রকল্পে ব্রিটিশ সরকার এরই মধ্যে ৩২ কোটি পাউন্ড খরচ করে ফেলেছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। আগামী ৪ জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনে সুনাকের দল হেরে গেলে এর পুরোটাই মাটি হতে পারে।
এই অর্থ খরচ করা হয়েছে রুয়ান্ডার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য। এর মধ্যে অভিবাসী স্থানান্তর প্রকল্পের অর্থও রয়েছে। কিন্তু সুনাকের প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টি জানিয়েছে, তারা ক্ষমতায় এলে নীতিটি বাতিল করবে। নির্বাচিত হলে এই পরিকল্পনা বাদ দিয়ে একটি নতুন সীমান্ত নিরাপত্তা কমান্ড প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে লেবার পার্টি। এর সাহায্যে ছোট নৌকায় চ্যানেল পার হতে আশ্রয় প্রার্থীদের সহায়তা দেওয়া মানবপাচার চক্রকে ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
লেবার পার্টির অভিবাসন বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী স্টিফেন কিনোক বলেছেন, ঋষি সুনাকের রুয়ান্ডা নীতি ইতিহাসের সবচেয়ে অযৌক্তিক এবং অপচয় করা স্বরাষ্ট্রনীতিগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। এটি ব্রিটিশ করদাতাদের জন্য অপমানজনক। এই পরিকল্পনায় জড়িত অল্প সংখ্যক মানুষের কর্মকাণ্ডে চ্যানেল অতিক্রমকারীদের কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না।
তবে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি জানিয়েছে, নির্বাচনে তারা জয়ী হলে আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে রুয়ান্ডার উদ্দেশ্যে প্রথম ফ্লাইটটি উড়াল দেবে আগামী ২৪ জুলাই।
সূত্রঃ এএফপি
এম.কে
০২ জুলাই ২০২৪