সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার চাহিদা। দেশ-বিদেশের টেক সংস্থাগুলি ছাড়াও অন্যান্য কোম্পানিগুলিতে জায়গা বেড়েছে এআই -এর। এই পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারেও বাড়ছে চিন্তা। চাকরি হারাচ্ছে বহু মানুষ। এআই -এর খাঁড়া কিন্তু ঝুুলছে খোদ টেক জায়ান্ট গুগলের মাথায়ও। ফের কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করল ‘গুগল’। বছর শেষে ১০ শতাংশ কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই বহুজাতিক টেক জায়ান্ট সংস্থা।
মূলত ম্যানেজার পদমর্যাদার কর্মীরা চাকরি হারাবেন বলে স্পষ্ট করেছেন সংস্থার সিইও সুন্দর পিচাই। আর এর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তিকে দায়ী করেছেন তিনি। এই সংস্থার জনপ্রিয় একটি কৃত্রিম মেধা ভিত্তিক টুল হল ‘চ্যাটজিবিটি’। সূত্রের খবর, এই ধরনের নতুন নতুন আরও কিছু প্রযুক্তি বাজারে আনতে চলেছে ‘ওপেনএআই’। আর তাই প্রতিযোগিতায় টিঁকে থাকতে আগে ভাগে সংস্থার খরচ কমানোর দিকে নজর দিয়েছে ‘গুগল’। ‘বিজনেস ইনসাইডার’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছাঁটাইয়ের তালিকায় অযোগ্য কর্মীদেরও রাখছে ‘গুগল’। তবে ব্যক্তিগতভাবে যাদের সংস্থায় আলাদা ভূমিকা রয়েছে, তাদের কাজ হারানোর সম্ভাবনা কম।
সূত্র অনুযায়ী, বেশির ভাগ ম্যানেজার বা উচ্চপদস্থ কর্মীর চাকরি গেলেও সংস্থার কর্মী সংখ্যার দিক থেকে ভারসাম্য বজায় রাখতে ও ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে কিছু সংখ্যক কর্মীর ক্ষেত্রে ছাঁটাইয়ের পথে এগোয়নি সংস্থা। উল্টো সেই সব কর্মীকে পদাবনতি বা ডিমোশন দিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বহুজাতিক টেক সংস্থাটিকে আরও ২০ শতাংশ বেশি দক্ষ করার কথা বলতে শোনা গিয়েছিল সিইও সুন্দর পিচাইয়ের গলায়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ‘গুগল’ থেকে চাকরি হারান ১২ হাজার কর্মী। চলতি বছরের মে মাসে সংস্থার কোর টিম থেকে ২০০ জনকে ছাঁটাই করে যুক্তরাষ্ট্রের এই বহুজাতিক টেক জায়ান্ট সংস্থা। ক্যালিফোর্নিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং টিম থেকে চাকরি হারান ৫০ জন। আরো একবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে সংস্থাটি।
সূত্রঃ বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
এম.কে
২১ ডিসেম্বর ২০২৪