পরিবারসহ বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। তবে এক্ষেত্রে ইউক্রেন যুদ্ধে যেসব বিদেশি রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করবেন তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরকেই শুধু নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। বৃহস্পতিবার ৪ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ডিক্রিতে বলা হয়েছে, যেসব বিদেশি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানে অংশ নিয়েছেন তারা নাগরিকত্ব এবং রাশিয়ার পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। যুদ্ধে অংশ নেওয়াদের স্বামী/স্ত্রী, সন্তান এবং পিতা-মাতাও এ আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দেখাতে হবে, তারা নূনতম এক বছরের জন্য যুদ্ধ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী ছাড়াও যারা ওয়াগনারের মতো ভাড়াটে বাহিনীতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তারাও এ সুবিধা পাবেন।
ধারণা করা হচ্ছে, যেসব বিদেশির সামরিক দক্ষতা রয়েছে তাদের আকৃষ্ট করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে ইউক্রেনে কতজন বিদেশি যুদ্ধ করছেন সেটির স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি রাশিয়া।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিউবার অনেক নাগরিক যুদ্ধ করতে রাশিয়ায় এসেছেন। কিউবায় একজন সাধারণ নাগরিক মাসে যে পরিমাণ অর্থ আয় করেন যুদ্ধ করতে আসা ব্যক্তিরা সেটির তুলনায় ১০০ গুণ অর্থ আয় করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা তথ্যে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ৩ লাখ ১৫ হাজার সেনা নিহত হয়েছেন। যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় রাশিয়ার যে সংখ্যক সেনা ছিল তার প্রায় ৯০ শতাংশ।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সেনাবাহিনীতে ৩ লাখ সেনা জড়ো করার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর নতুন করে আর সেনা জড়ো না করা হলেও; ধারণা করা হচ্ছে আগামী মার্চে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষে আবারও এ ধরনের নির্দেশ দেবেন তিনি।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
০৫ জানুয়ারি ২০২৩