12.3 C
London
May 4, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

এক বিস্ময়কর কিশোর মৌলভীবাজারের ছেলে কাইরান কাজী

শীর্ষ মার্কিন উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের রকেট এবং মহাকাশযান প্রস্তুতকারী সংস্থা স্পেসএক্স বাংলাদেশি-আমেরিকান কাইরান কাজীকে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। কাইরান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শেষ করার পরে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে স্পেসএক্সে যোগ দিতে এখন প্রস্তুত বলে বিশ্বের গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়।

সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক শেষ করেছেন কাইরান। তিনি বলেন, আমি মনে করি আমার কলেজের বছরগুলি আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের বছর ছিল, কারণ আমার জীবনযাত্রার লক্ষ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য তখন অনেক বেশি স্বাধীনতা ছিল।

 

 

 

 

ক্যালিফোর্নিয়ার প্লেস্যান্টনে তার বেডরুম থেকে শুক্রবার দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন কাইরান।

তবে স্পেসএক্সের স্টারলিংক দলে যোগদানের বিষয়ে নিয়ে কাইরান বেশ উত্তেজিত। স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা পরিচালনা করে। এধরনের একটি কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি বেশ কৃতিত্বের, বিশেষ করে এমন একজন কিশোরের জন্য যিনি ইতিমধ্যে অনেক কিছু করেছেন।

জন্মসূত্রে সিলেটের মৌলভীবাজারের সঙ্গে কাইরানের যোগসূত্র রয়েছে। এক সাক্ষাতকারে তিনি বাংলা ভাষা শেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মাত্র দুই বছর বয়সেই, কাইরান সম্পূর্ণ বাক্যের ব্যবহার রপ্ত করেছিলেন। কিন্ডারগার্টেনে থাকার সময় তিনি ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও রিপোর্ট শোনার পর সে সম্পর্কে যেভাবে বর্ণনা দিতেন তা শুনে তার শিক্ষক এবং সহপাঠীরা মুগ্ধ হয়ে যেত।

 

 

 

 

নয় বছর বয়সে, তিনি অনুভব করতে শুরু করেছিলেন যে শিক্ষা তার চাহিদা ও আকাঙ্খা পূরণ করতে পারছে না। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, বাবা-মা এবং তার শিক্ষক উপলব্ধি করেন কাইরানের উচিত আরো উচ্চ-স্তরের পড়াশোনা শুরু করা।

তার অভিভাবকের পক্ষে ওই বয়সে তাকে কলেজে ভর্তি করা কঠিন ছিল কিন্তু অবশেষে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার লিভারমোরের লাস পসিটাস কলেজে ভর্তি হতে সক্ষম হন। সেখানেও কাইরান তৃতীয় গ্রেড বাদ দিয়ে সরাসরি একটি কমিউনিটি কলেজে কোর্স লোড শিখতে শুরু করেন যা তার কাছে সহজে বোধগম্য হয়। এবং কাইরান এ ব্যাপারে মন্তব্য করেন, অনুভব করতে শুরু করি যে আমি সেই স্তরে শিখছি যেটা আমি শিখতে চেয়েছিলাম। এরপর তিনি সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান।

 

 

 

 

ভিডিও গেম খেলতে পছন্দ করতেন কাইরান। ঐতিহাসিক কল্পকাহিনী সিরিজ ‘অ্যাসাসিনস ক্রিড’, ফিলিপ কে ডিকের সাই-ফাই ছোট গল্প এবং সাংবাদিক মাইকেল লুইসের কাজ তাকে টানত। মাইকেল, যিনি ২০০৮ সালের আর্থিক সঙ্কট নিয়ে লিখেছিলেন এবং কাইরান তা অবলীলায় আত্মস্থ করতে সমর্থ হন।

কাইরান তার জীবন সম্পর্কে গল্প বলতে পছন্দ করেন, কারণ তার যাত্রাটি তার বুদ্ধি এবং চরিত্রের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা ঘটনাবলীকে স্পষ্ট করে তোলে।

এম.কে
১২ জুন ২০২৩

আরো পড়ুন

বাংলাদেশের হজ ও ওমরাহ যাত্রীরা পড়েছেন অনিশ্চয়তায়

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সুইডিশ বিচারপতি আসিফ শাহকার

আজ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগের প্রধান