সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে উপসাগরীয় আরব দেশ বাহরাইন। আগামী এক মাসের মধ্যে একটি চুক্তি সই করবে বলে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও বাহরাইন এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক টুইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানান, বাহরাইন ও ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয়েছে। এ সম্পর্ককে তিনি ‘একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পুনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কথা বলার পরই দেশ দু’টি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়।
গত মাসে প্রথম আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মতিতে পৌঁছায় আমিরাত। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে দেশ দু’টির মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হবে। সেই চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাহরাইনও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে বাহরাইনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা এসেছে।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠেয় ইসরায়েল ও আমিরাত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে যোগ দেবে বাহরাইন। এসময় তিনি ইসরায়েল-বাহরাইন চুক্তি সম্পর্কে বলেন, এতো দ্রুত এ ঘটনা ঘটবে, অকল্পনীয় ছিল।
এদিকে, এ চুক্তিগুলোকে ট্রাম্প প্রশাসনের চার বছরের দুর্দান্ত কাজের সমাপ্তি হিসেবে প্রশংসা করেছেন হোয়াইট হাউসের সিনিয়র উপদেষ্টা ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার। তিনি বলেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন সূচনা দেখতে পাচ্ছি।
হিব্রু ভাষায় দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, আমিরাতের মতো বাহরাইনের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক স্থাপন শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।
বাহরাইন বলছে, এ চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিকে সমর্থন করে, জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (বিএনএ)।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২০