এবারের ঈদুল আজহায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মিলিয়ে ১০ দিনের দীর্ঘ ছুটি পাচ্ছেন দেশের মানুষ। পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে সরকার এমন ছুটির পরিকল্পনা করছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। ঈদের আগে ও পরে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে এ বছরের কোরবানির ঈদে দীর্ঘ অবকাশের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ছুটির সম্ভাব্য তারিখ ও বিন্যাসঃ
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, আগামী ১৬ জুন (রবিবার) ঈদুল আজহা পালিত হতে পারে (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল)। সেই অনুযায়ী—
১৪ জুন (শুক্রবার): সাপ্তাহিক ছুটি
১৫ জুন (শনিবার): সাপ্তাহিক ছুটি
১৬ জুন (রবিবার): ঈদুল আজহার মূল দিন
১৭ ও ১৮ জুন: ঈদের সরকারিভাবে ঘোষিত ছুটি
১৯ ও ২০ জুন: কর্মদিবস হলেও ঐচ্ছিক ছুটির সুযোগ
২১ জুন (শুক্রবার): সাপ্তাহিক ছুটি
২২ জুন (শনিবার): সাপ্তাহিক ছুটি
এই হিসাবে ১৪ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত টানা ৯ দিন, মাঝে ২ দিন অফিস থাকলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করলে তা ১০ দিনে পরিণত হতে পারে।
সরকারি উদ্যোগ ও অভ্যন্তরীণ প্রস্ততিঃ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মজীবীদের ঈদ উদযাপনকে আনন্দময় ও নির্বিঘ্ন করতে ছুটির সময়সূচি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে পরিবারসহ নিজ গ্রামে গিয়ে ঈদ করা সহজ হয়। এছাড়া, কোরবানির পশু পরিবহন, বাজার ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো মাথায় রেখেই ছুটি সাজানো হয়েছে।
পর্যটন ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাবের আশাঃ
দীর্ঘ ছুটির কারণে দেশের পর্যটন খাতে ব্যাপক গতি আসবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজার, সিলেট, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, সুন্দরবনসহ দেশের নানা পর্যটনকেন্দ্রের হোটেল-রিসোর্টগুলো ইতিমধ্যে বুকিং নিতে শুরু করেছে।
তবে দীর্ঘ ছুটির কারণে ব্যাংকিং ও শিল্প খাতে কিছুটা চাপ তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি কার্যক্রমে। তবে পূর্ব প্রস্তুতির মাধ্যমে তা সামাল দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
০৬ মে ২০২৫